নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বাংলাদেশের মিডওয়াইফদের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে দেশের সকল মিডওয়াইফ অংশগ্রহণ করে।
বাংলাদেশ মিডওয়াইফারি সোসাইটি (বিএমএস) ‘মিডওয়াইফ’ পেশার উন্নয়ন ও মান অক্ষুন্ন রাখার তাগিদে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
মানববন্ধনে বিএমএস নেতৃবৃন্দ সবাইকে মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্য সুরক্ষা, মা ও শিশু মৃত্যুও হার কমানো এবং অপ্রয়োজনীয় সিজার প্রতিরোধে অগ্রগামী প্রশিক্ষিত, দক্ষ ও সরকার অনুমোদিত মিডওয়াইফদের সঙ্গে থাকার আহবান জানান।
নেতৃবৃন্দ মিডওয়াইফ পেশার মান সুরক্ষা ও উন্নয়নে সবাইর সহায়তাও কামনা করেন।
নেতৃবৃন্দ জানান, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আওতায় কর্মরত পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকাদের মিডওয়াইফ সম-মান দেওয়ার লক্ষ্যে সুপারিশ প্রণয়নে গত ১১ জানুয়ারি একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশ মিডওয়াইফারি সোসাইটি অনতিবিলম্বে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকাগণদের মিডওয়াইফ সম-মান দেওয়ার যে কোনো পদক্ষেপ বন্ধেরও আহবান জানান।
উল্লেখ্য, মিডওয়াইফ হলো দক্ষ প্রশিক্ষিত প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে মা ও নবজাতক শিশুর স্বাস্থ্য সেবা প্রদানে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত ‘মিডওয়াইফ’ শত বছরের আগে থেকেই প্রচলিত। মা ও শিশুমৃত্যু হার কমানোর লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো মিডওয়াইফ পেশাটি ২০১০ সালে স্বীকৃতি লাভ করে। বর্তমানে বিএমএসএর ২৯৪৯ জন সাধারণ সদস্য রয়েছে।
বাংলাদেশে বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে তিনবছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্স চালু আছে। বর্তমানে তিন বছরের প্রশিক্ষণ শেষ করে প্রায় ১১৪৯ জন নিবন্ধিত মিডওয়াইফ দেশের বিভিন্ন উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্স ও ইউনিয়ন সাবসেন্টারে কর্মরত আছেন । সেই সাথে আরো প্রায় ৩০০০ জন নিবন্ধিত মিডওয়াইফ সরকারি চাকরির জন্য অপেক্ষমান, কেউ বেকার কেউ বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মিডওয়াইফ সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন। করোনাভাইরাস পেনডেমিকের মধ্যেও মিডওয়াইফগণ অপ্রয়োজনীয় সিজার থেকে সুরক্ষা, নরমাল ডেলিভিরি বৃদ্ধি এবং মা ও শিশু মৃত্যুর হার কমানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশে অত্যন্ত সাফল্য ও তাৎপর্যের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। মিডওয়াইফদের আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিএসসি অনার্স ও মাস্টারস কারিকুলাম তৈরি হচ্ছে।