স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ‌‘মুজিব চিরন্তন’ উদযাপন ও অতিথি

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥  ১৭ মার্চ ২০২০ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী। শুরু মুজিববর্ষেরও। ১৭ মার্চ ২০২০ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এ বর্ষ উদযাপন করা হয়।

স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত এই নেতা ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। এই দিনটি জাতীয় শিশু কিশোর দিবস হিসাবেও উদযাপিত হয়।
এর আগে ১০ জানুয়ারি ২০২০ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণ গণনা শুরু হয়। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তেজগাও এলাকার পুরাতন বিমান বন্দরে (জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ড) ‘জয় বাংলা – জয় বঙ্গবন্ধু’ শ্লোগানে ক্ষণ গণনার উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

মুজিব চিরন্তন:

বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১০ দিনের অনুষ্ঠান মুজিব চিরন্তন শুরু হয় ১৭ মার্চ ২০২১ বুধবার বিকেল সাড়ে চারটায় শত শিশুর কণ্ঠে জাতীয় সংগীত ও দেশাত্মবোধক গানের মধ্য দিয়ে।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সশরীর যোগ না দিলেও ভিডিও বার্তার মাধ্যমে শুভেচ্ছা বক্তব্য পাঠান চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ব্রিটিশ সাংবাদিক মার্ক টালিও ভিডিও বার্তা পাঠান।

প্রথম দিনের আমন্ত্রিত অতিথি মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মহামানব অভিহিত করে বলেন, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতাপ্রত্যাশী মানুষের হৃদয়ে তিনি একটি স্থায়ী আসন করে নিয়েছেন। মোহাম্মদ সলিহ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসের অন্যতম মহামানব, যাঁর কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের জনগণের স্বতন্ত্র নিয়তি নির্ধারণে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে।’ মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট বলেন, বিশেষত বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ তাঁর ‘দক্ষতা ও মহতী ঐতিহাসিক অবস্থান’-এর প্রমাণ, যাতে কার্যত বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়েছিল। যে কারণে ইউনেসকো এটিকে ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে’ দালিলিক ঐতিহ্য হিসেবে নথিভুক্ত করেছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসাও করেন সলিহ। করোনাভাইরাস মহামারিতে বাংলাদশ থেকে মেডিকেল টিম পাঠানোর কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে আমরা যে বন্ধুত্ব উপভোগ করছি, তার জন্য মালদ্বীপ কৃতজ্ঞ।’

১৯ মার্চ, ২০২১ : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগদানের উদ্দেশে রাজাপাকসে ১৯ মার্চ সকালে দু’দিনের সফরে ঢাকা পৌঁছেন। বিকেলে তেজগাঁওয়ে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারের অনুষ্ঠানে নেপালী প্রেসিডেন্ট সম্মানিত অতিথি হিসেবে অংশ নেন। দুই দিনের সরকারি সফর শেষে তিনি ২০ মার্চ সন্ধ্যায় স্বদেশের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন। এই সফরে দুই দেশের বিভিন্ন খাতে সহযোগিতার সম্পর্ক জোরদারে ঢাকা ও কলম্বোর মধ্যে ছয়টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে।

২২ মার্চ, ২০২১ : বাংলাদেশের স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী দুটি ঐতিহাসিক উৎসব উদযাপনে যোগ দিতে দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসেন নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি।

প্রেসিডেন্ট ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী ভিভিআইপি বিমান সকাল ১০ হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ঢাকায় নেপালী প্রেসিডেন্টের এটি প্রথম সফর। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে যে কয়জন বিশ্বনেতা যোগ দিয়েছেন তিনি তাদের মধ্যে তৃতীয়। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বিমানবন্দরে নেপালী প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানান।

বিকেলে তেজগাঁওয়ে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারের অনুষ্ঠানে নেপালী প্রেসিডেন্ট সম্মানিত অতিথি হিসেবে অংশ নেন। এখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে স্বাগত জানান।
এ সফরে পর্যটন, স্যানিটেশন, সাংস্কৃতিক বিনিময় ও রেলওয়ে সংযোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ঢাকা ও কাঠমান্ডু চারটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

২৩ মার্চ, ২০২১ : ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং জাতির পিতা ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীতে যোগ দিতে তিন দিনের সরকারি সফরে ঢাকা এসে পৌঁছান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ফুলের তোড়া উপহার দিয়ে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। বিকালে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি সম্মানিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন।

ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে তার দ্বিতীয় বাড়ি হিসেবে বিবেচনা করেন, যেখানে তিনি ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন বুনেছিলেন এবং জীবন বাঁচানোর বৈশিষ্ট্যগুলো শিখেছিলেন।

২৬ মার্চ, ২০২১ : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ-জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সকালে ঢাকা এসে পৌঁছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিশেষ বিমান সকাল সাড়ে দশটায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানান। বিমান বন্দরে নরেন্দ্র মোদিকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়। দশ দিনের অনুষ্ঠানমালায় যোগদানকারী বিশ্ব নেতৃবৃন্দের মধ্যে নরেন্দ্র মোদি হচ্ছেন পঞ্চম রাষ্ট্রীয় অতিথি।
বিমান বন্দরের আনুষ্ঠানিকতার পর নরেন্দ্র মোদি পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে যান। সেখানে স্মৃতিসৌধের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। এরপর, তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে যান।
বিকেলে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ-জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানমালার দশম দিনের অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে যোগ দেন।
সফরের দ্বিতীয় দিন শনিবার সকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধ পরিদর্শন এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিনি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলায় ওরাকান্দি মন্দির এবং সাতক্ষীরার শ্যামনগরের ঈশ্বরিপুরে অবস্থিত যশোরেশ্বরী দেবী মন্দির পরিদর্শন করেন। এই দিন বিকেলে, নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে করেন। একই সময় দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বিভিন্ন সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের পাশাপাশি ভার্চুয়ালি যৌথভাবে বিভিন্ন প্রকল্প উদ্বোধন করেন। ঢাকা-নতুন জলপাইগুড়ি যাত্রীবাহী ট্রেন সার্ভিস ‘মিতালি এক্সপ্রেস’ উদ্বোধন করেন। নরেন্দ্র মোদি ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় নয়াদিল্লীর উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান

২৬ মার্চ, ২০২১ : পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, পাকিস্তান বাংলাদেশের সাথে তাদের বিদ্যমান সম্পর্ক আরো জোরদার করবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা এক বার্তায় তিনি বলেন, ভ্রাতৃত্বপূর্ণ বাংলাদেশের সাথে আমরা আমাদের বিদ্যমান সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী এবং আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য নতুন করে গড়ে তুলতে চাই। কারণ আমরা বিশ্বাস করি যে, আমাদের দুই দেশের মানুষের ভাগ্য একই সাথে জড়িত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী পালন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে এখানে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ১০ দিনব্যাপী বিশেষ কর্মসূচির সমাপনি অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তান হাই কমিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স কশিফ জামিল এ বার্তা স্ক্রীনড করেন।

ইমরান বলেন, বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণে জন্ম শতবার্ষিকী অনুষ্ঠান হচ্ছে গভীর ভালবাসা ও শ্রদ্ধার প্রতিচ্ছবি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে ইমরান খান বলেন, ‘আমাদের গভীরতর সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে, আমি আপনাকে যত দ্রুত সম্ভব পাকিস্তান সফরের জন্য আন্তরিকভাবে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি । আমি বিশ্বাস করি, এরফলে আমাদের ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্কের ক্ষেত্রে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে ।’

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন

২৬ মার্চ, ২০২১ : ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, ১৯৭২ সালে লন্ডনের ডাউনিং স্ট্রিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক সফর যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে ‘বন্ধুত্ব গড়ার সহায়ক’ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘এখন আমরা ব্রিটিশ ও বাংলাদেশী বন্ধুত্বের আগামী ৫০ বছরের প্রত্যাশায় রয়েছি এবং আমি আপনাদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’

সন্ধ্যায় ন্যাশনাল প্যারেড গ্রাউন্ডে উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রচারিত বার্তায় জনসন বলেন, ‘জন্মের পর থেকে আপনারা জাতি হিসেবে কতটা অর্জন করেছেন তা চিন্তা করা বিস্ময়কর।’

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জনসন ২০১৮ সালে তার বাংলাদেশ সফরের কথা স্মরণ করেন, যখন তাকে ‘অনেক আন্তরিক এবং উদারতার সঙ্গে’ স্বাগত জানানো হয়। তিনি যুক্তরাজ্য এবং বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধনের উপর জোর দেন, যা ৬ লাখ ব্রিটিশ-বাংলাদেশী গঠিত একটি শক্তিশালী কমিউনিটি যারা যুক্তরাজ্যে প্রতিদিন অবদান রাখছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি বিশেষ করে আমাদের এনএইচএস (ন্যাশনাল হেল্থ সার্ভিস) এর চমৎকার চিকিৎসক এবং নার্সদের কথা, যাদের অনেকেই কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধে মানুষের চিকিৎসা এবং টিকা দিতে সাহায্য করছে।’
জনসন বাংলাদেশকে বিশ্বের দ্রুততম ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ আরো সমৃদ্ধ এবং পরিবেশগত ভাবে টেকসই ভবিষ্যৎ গঠনের উচ্চাকাক্সক্ষা ভাগাভাগি করার ওপর জোর দেন।

তিনি বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ করতে এবং গ্লাসগো কোপ২৬-এ তাঁর সাথে আবার দেখা হওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছি।’ যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের জনগণকে সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে অভিনন্দন জানান।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেস

২৬ মার্চ, ২০২১ : জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেস ভিডিও বার্তায় স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকীতে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকীতে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে দশ দিনের বিশেষ অনুষ্ঠানমালার সমাপনীতে এই ভিডিও বার্তা দেখানো হয়। গুতেরেস বলেন, স্বল্প উন্নত দেশের ক্যাটাগরি হতে দেশের এই উন্নয়নের জন্য আমি আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বৃহত্তম সৈন্যদাতা, জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্থ ফোরামের চেয়ারম্যান এবং মায়ানমার থেকে হাজার হাজার জোর করে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের বসবাস করতে দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ব পর্যায়ে গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
জাতিসংঘ এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশীদার উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতিসংঘ জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় এবং টেকসই উন্নয়নমূলক কাজের জন্য বাংলাদেশকে সহায়তা করে চলেছে। জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ‘আমি আপনার শুভ কামনা করছি।’

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি জে ব্লিঙ্কেন

২৬ মার্চ, ২০২১ : মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি জে ব্লিঙ্কেন বলেছেন, তার দেশ বৈশ্বিক উন্নয়নে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অবদানের কথা স্বীকার করে। তিনি বলেন, ‘একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত অঞ্চল এবং একটি সুস্থ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে একসঙ্গে এগিয়ে চলা আমরা বৈশ্বিক উন্নয়নে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অবদান স্বীকার করি।’
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের জনগণকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে ভিডিও বার্তায় বলেন, বাংলাদেশ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশই স্বাধীনতার জন্য সাহসী সংগ্রাম করেছে। তিনি বলেন, গত ৫০ বছরে যুক্তরাষ্ট্র ও রাংলাদেশ পারস্পরিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন থেকে শুরু করে শান্তিরক্ষা পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা করেছে এবং দু’দেশের জনগণের মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘এর ফলে, আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার হয়েছে।’
তিনি বলেন, সম্প্রতি, দুই দেশের জনগণই মানবাধিকার উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন ও কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবেলায় অংশীদার হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘ঠিক যেমন সম্পর্কের শুরুর দিকে, আমরা আমাদের জনগণের জন্য গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, সমৃদ্ধি ও কল্যাণের জন্য যেমন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছিলাম, তেমনি স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও আমাদের শিশুদের জন্য উন্নত বিশ্ব গড়ে তুলতে ও তাদের আকাঙ্ক্ষা পূরণে পাশে থাকব।’

জাপানের তাকাশি হাওয়াকাওয়ার পুত্র ওসামু হাওয়াকাওয়া

২৫ মার্চ, ২০২১ : বাংলাদেশের জাপানী বন্ধু তাকাশি হাওয়াকাওয়ার পুত্র ওসামু হাওয়াকাওয়া বলেন, এশিয়ার দেশ হিসেবে মানবতার ভিত্তিতে জাপান বাংলাদেশকে যথাসাধ্য সহযোগিতা করবে। ২৫ মার্চ জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীর দশম দিনের নবম দিনে সরাসরি আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

ওসামু বলেন, ‘১৯৭২ সালের ১৪ মার্চে, যখন আমার বাবা জাপান সরকারের বিশেষ মৈত্রী দূত হিসেবে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। আমিও বাবার নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলে ছিলাম। সেই সময় সারা বাংলাদেশ ছিল শিকল ভাঙার সুখ ও স্বাধীনতা অর্জনের আনন্দে পরিপূর্ণ। চার দিনের অবস্থানকালে সেটি প্রত্যক্ষ করে বাবাও অত্যন্ত অভিভূত ও আবেগাপ্লুত হয়েছিলেন। স্বাধীনতা অর্জনের আর কিছু দিনের মধ্যেই ভীষণ ব্যস্ততা সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধু তাঁর কার্যালয়ে আমাদের আমন্ত্রণ করলেন। বাবার সঙ্গে দেখা হলে তিনি বাবাকে আন্তরিকভাবে বুকে জড়িয়ে ধরলেন।’

ওসামু আরো বলেন, আমরা দেখলাম, দেশের স্বাধীনতার জন্য উৎসর্গীকৃত জীবনের অর্ধেক কারাগারে কাটাতে বাধ্য হলেও বঙ্গবন্ধু ছিলেন সদা উজ্জ্বল ও উষ্ণ মনের অধিকারী। বাবা (তাকাশি) বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য অভিনন্দন জানানোর পর তারা বৈঠকে বসেন এবং রাষ্ট্র গঠনে উৎসাহী দুই নেতার মধ্যে আন্তরিক আলোচনা যেন শেষ হতে চায়নি।
‘তাঁদের মনের আবেগ মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান বললেন যে, বাংলাদেশকে পূর্ব ও পশ্চিম দুই ভাগে বিভক্তকারী যমুনা নদীতে সেতু নির্মাণের কাজ যেন জাপানের হাতে সম্পন্ন হয়। তিনি আগ্রহের সঙ্গে আরও বলেন, সেই সেতু হবে বাংলাদেশ ও জাপানের বন্ধুত্বের প্রতীক।

ওসামু বলেন, দেশে ফেরার পর আমার বাবা যমুনা সেতু নির্মাণে সহায়তা প্রদান ও জাপানের দেয়া অন্যান্য প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের প্রয়াস নেন। এরপর থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে জাপানের সহযোগিতায় অনেক বড় বড় সেতুর নির্মাণসহ অবকাঠামোর উন্নয়ন হয়েছে।

জার্মান প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক ভাল্টার স্টাইনমায়ার

২৩ মার্চ, ২০২১ : জার্মান প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক ভাল্টার স্টাইনমায়ার বলেছেন, আকর্ষণীয় উন্নয়ন এবং উচ্চ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে বাংলাদেশে প্রাণবন্ত গণতন্ত্র বিরাজ করছে। ২৩ মার্চ এক লিখিত বার্তায় তিনি বলেন, “দেশটি অসাধারণ উন্নয়ন অর্জন করেছে এবং উচ্চ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে দেশটিতে আজ প্রাণবন্ত গণতন্ত্র বিরাজ করছে।”
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী এবং দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার ৭ম দিনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন এই বার্তা পাঠ করেন।
বার্তায় একই সাথে জার্মান প্রেসিডেন্ট বলেন, উদ্ভাবনী উন্নয়ন নীতি ও কৌশল গ্রহণ করে বাংলাদেশ স্পষ্টভাবে দারিদ্র হ্রাসে সফল হয়েছে। স্টাইনমায়ার বলেন, বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ পররাষ্ট্র নীতি এবং উদার মানবিক সম্পৃক্ততা বিশেষ করে স্বদেশ ভূমি থেকে পালিয়ে আসা হাজার হাজার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর আশ্রয়দানকে বিশ্ব অত্যন্ত মর্যাদা দেয়।
তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে দেশের জনগণকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং সামনের সকল কার্যক্রমের সাফল্য কামনা করেছেন।

ইউনেস্কো’র মহাসচিব আদ্রে আজোউলে

২৩ মার্চ, ২০২১ : ইউনেস্কো’র মহাসচিব আদ্রে আজোউলে আজ বলেন, বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ সার্বজনীন মূল্যবোধ স্বাধীনতা, মানবাধিকার এবং মর্যাদার সমার্থক। বঙ্গবন্ধু’র জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর দশ দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানমালার ৭ম দিনে ২৩ মার্চ এক ভিডিও বার্তায় ইউনেস্কো মহাসচিব এ কথা বলেন।

জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান এবং সাংস্কৃতিক সংস্থার (ইউনেস্কো) মহাপরিচালক বলেন, ৫০ বছর আগে ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধু দেয়া ঐতিহাসিক এ গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেশটির স্বাধীনতার নেতৃত্ব দেয়ায় বাংলাদেশ এবং বিশ্ব এই দিনটি উদযাপন করছে। ইউনেস্কো যে কারণে এই ঐতিহাসিক ভাষণটি বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যে অন্তর্ভুক্ত করেছে, সেই একই কারণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপনে যোগ দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের কয়েক বছর পরেই ইউনেস্কোতে যোগ দেয় এবং বাংলাদেশ ও ইউনেস্কোর মধ্যে বন্ধুত্ব স্থাপনের আজ সেই ঐতিহাসিক দিন।

তিনি বলেন, গত পাঁচ বছর ধরে ঢাকায় ইউনেস্কোর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট রয়েছে এবং বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাই এজন্য যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রতিবছর ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করে। তিনি বলেন, ‘আমরা সৃজনশীল অর্থনীতির জন্য ‘ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক পুরষ্কার’ চালু করে সংস্কৃতির ক্ষেত্রে এই প্রতিশ্রুতি আরও জোরদার করবো।’

ব্রিটেনের রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ

২২ মার্চ, ২০২১ : ব্রিটেনের রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে এক বিশেষ শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছেন। ২১ মার্চ বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদকে পাঠানো এই বিশেষ শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরপূর্তিতে রাষ্ট্রপতি ও বাংলাদেশের জনগণকে তাঁর আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলাদেশের অব্যাহত সমৃদ্ধি কামনা করেছেন। বাংলাদেশ হাই কমিশন, লন্ডন থেকে ঢাকায় পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।
ব্রিটেনের রাণী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদকে পাঠানো তাঁর শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরপূর্তিতে আমি অত্যন্ত আনন্দিত এবং এই বিশেষ মুহূর্তে আপনাকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি ও একই সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণকে জানাচ্ছি শুভ কামনা। আমাদের পারস্পরিক সম্পকের্র ভিত্তি গভীর বন্ধুত্বের ও সৌহার্দের এবং এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য ৫০ বছর আগের মতো আজো অটুট রয়েছে। আমি আশা করি, একটি কঠিন বছরের পর বৈশ্বিক স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলা করে আমাদের আগামি দিনগুলো আবারো সুন্দর হয়ে ওঠবে।

ওআইসি’র মহাসচিব ড. ইউসেফ বিন আহমেদ আল-ওসাইমীন

২০ মার্চ, ২০২১ : ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)’র মহাসচিব ড. ইউসেফ বিন আহমেদ আল-ওসাইমীন বলেছেন, বাংলাদেশ এখন ধর্মীয় সম্প্রীতি ও শান্তির অন্যতম উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দশ দিনব্যপী বিশেষ কর্মসূচির আজ চতুর্থ দিনের অনুষ্ঠানে এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতি ও শান্তির অন্যতম উজ্জ্বল উদাহরণ।’

ওআইসির মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশ মুসলিম বিশ্বের উত্তরোত্তর শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য ওআইসির সাথে সর্বদা দৃঢ় অংশীদারিত্ব বজায় রেখেছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বার্তা প্রেরণ করতে পারাটা তার সৌভাগ্য। আল-ওসাইমীন বলেন, একাত্তরে বাংলাদেশ মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী দিক-নির্দেশনায় একটি স্বাধীন জাতিতে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা ১৯৭৪ সালে নতুন জন্ম নেয়া দেশকে উপস্থাপন করে বাংলাদেশ ও ইসলামী বিশ্বের মধ্যে সম্পর্কের অগ্রণী ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে ওআইসির দ্বিতীয় শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেন এবং এটি ছিলো যৌথ ইসলামী কর্মকা- এবং মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে শান্তি ও সম্প্রীতি উন্নয়নের ঐতিহাসিকভাবে এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।

আল-ওসাইমীন এ উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী এবং জনগণকে অভিনন্দন জানান।

 

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts