বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ মাদকনির্ভরশীলতা একটি পুনঃআসক্তিমূলক রোগ তাই এই রোগ প্রতিরোধে মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার পাশাপাশি চিকিৎসাকালীন ও চিকিৎসা পরবর্তীতে সুস্থতার জন্য তার পরিবারের ভুমিকাও অপরিসীম। আর মাদকনির্ভরশীল নারীদের ক্ষেত্রে চিকিৎসা পরবর্তীতে মোবাইল ব্যবহার এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয়তাকে সুস্থতার জন্য ঝুকিঁ মনে করছেন পরিবার।
গবেষণা থেকে দেখা যায়, একজন ব্যক্তি দীর্ঘমেয়াদে চিকিৎসা গ্রহণ করলে এই সকল সমস্যা থেকে দুরে থাকার জন্য ব্যক্তির মাঝে ইচ্ছাশক্তি ও ইতিবাচক প্রেষনা তৈরি হয়। উক্ত বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে ১৮ জুলাই আহ্ছানিয়া মিশন নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের উদ্যোগে উক্ত কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অনলাইনে পারিবারিক সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় আলোচ্য বিষয় ছিলো ‘মাদকনির্ভরশীলতা সমস্যায় দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার গুরুত্ব’। সভার আলোচ্য বিষয়ে উপস্থাপনা করেন আহ্ছানিয়া মিশন নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের সাইকোস্যোসাল কাউন্সেলর মমতাজ খাতুন।
সভার বিশেষজ্ঞ আলোচক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সাবেক আবাসিক মনোচিকিৎসক ও এডিকশন প্রফেশনাল ডা. মো. আখতারুজ্জামান সেলিম বলেন, একজন মাদকনির্ভরশীল নারীর স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার ক্ষেত্রে তার সমস্যানুযায়ী দীর্ঘমেয়াদে চিকিৎসা, চিকিৎসা পরবর্তী নিয়মিত মনোচিকিৎসক পরামর্শ মেনে চলা যেমন- মেডিসিন গ্রহণ এই পদ্ধতিগুলোর মাধ্যমে চিকিৎসার সাথে সংযুক্ত থাকার বিষয়ে গুরুত্ব প্রদান করেন।
সভার আরেকজন আলোচক ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন, স্বাস্থ্য সেক্টরের সিনিয়র সাইকোলজিস্ট রাখী গাঙ্গুলী দীর্ঘ মেয়াদে চিকিৎসার ক্ষেত্রে কাউন্সেলিং এর গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন।
পরে মুক্ত আলোচনা শুরু হয় এ সময় সভার আলোচকগণ ও কেন্দ্রের কাউন্সেলর সভায় অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
সভাটি সঞ্চালনা করেন আহ্ছানিয়া মিশন নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার উম্মে জান্নাত।