আরিফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: শরৎ এর সাদা শুভ্রতা নিয়ে দিগন্ত জুড়ে চোখ ধাঁধানো কাশফুলের সমাহার।শ্বেত শুভ্রতার কাশফুলের হাতছানিতে বিমোহিত দর্শনার্থীরা।
পথপ্রান্তরে দেখা মিলে কাশফুলের। যখনই পশ্চিম আকাশ হয়ে নিদ্রায় যেতে চাই সূর্যিমামা। নীল আকাশে ভেসে বেড়ায় শ্বেত মেঘের বেলা। শরতের সৌন্দর্যের উপমায় থাকে সাদা আকাশ আর শ্বেত রঙে মুগ্ধতা ছড়ানো কাশফুল।এরকম দৃশ্য চোখে পড়ে টাঙ্গাইল-বাসাইল সড়কের বাসাইল ডিগ্রী কলেজের অর্ধ কিলোমিটার পূর্বে মূল সড়কের উত্তর পাশে।
সরেজমিনে টাঙ্গাইল-বাসাইল সড়কের বাসাইল ডিগ্রী কলেজের অর্ধ কিলোমিটার পূর্বে মূল সড়কের উত্তর পাশে গিয়ে দেখা গেছে, কাশ ফুলের মাঠে ছেলেমেয়েরা মেতে উঠেছে আনন্দ উচ্ছ্বাসে। নির্মল বাতাসে শুভ্র সাদা কাশফুলের মন মাতানো দোল খাওয়া শীষ দেখতে তরুন-তরুনীসহ বিভিন্ন বয়সের লোকজন বিকেলে ঘুরে বেড়াচ্ছেন কাশবনে। কাশ ফুলের শুভ্রতার সৌন্দর্য্য উপভোগ করার পাশাপাশি ভ্রমন ও প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের স্বাক্ষী হতে নিজেদের ধরে রাখছেন ছবির ফ্রেমে।
শারমিন আক্তার বলেন, ‘গোধূলির সময় মাঠজুড়ে সবুজের সমারোহ ও সাদা কাশফুল যখন বাতাসে দোলতে থাকে তখন মনটা আনন্দে ভরে উঠে।’
ভ্রমণ প্রিয় সুজন পারভেজ ও সজিব বলেন, ‘মহামারী করোনায় আমাদের সময় কেমন যেন থমকে গেছে। কিন্তু প্রকৃতি তো আর থেমে নেই। প্রকৃতি সেজেছে নতুন সাজে। তাই আমরাও ছুটে এসেছি এখানে।’
গৃহিনী আখি আক্তার বলেন, ‘কাশফুলের সমারোহে বিকেলের বাতাস যেন শীতের আগমনের বার্তা দিচ্ছে। শৈশবের স্মৃতিগুলোকেও স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। এই অপরূপ সৌন্দর্যের কাছে থাকতে পেরে খুবই ভালো লাগছে।’
স্থানীয় আলোকচিত্রী লিমন বলেন, ‘সাদা কাশফুল ও সবুজের পাশ দিয়ে চলার অনুভুতি অন্যরকম। এখানে ছবি তুলতে এসে কাশফুলের অপরূপ সৌন্দর্য্য দেখে মনটা ভরে গেছে।
বাসাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম বলেন,দীর্ঘদিন করোনার কারণে মানুষ ঘরে থেকে বাহিরে বের হতে পারেনি ।করোনার প্রকোপ কমতে থাকায় মানুষ ঘর থেকে বাহিরে বের হচ্ছে। কাশফুল প্রকৃতির সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাসুলিয়ার সাথে সাথে কাশবন দেখতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মানুষ ভীড় জমাচ্ছে। ভ্রমণপিপাসুদের নিরাপত্তা, নতুন নতুন বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণ ও বাসাইলের সার্বিক উন্নয়নের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।