পরপর বন্যায় দিশেহারা কলাচাষি লুৎফর

মো. রাসেল হোসেন, ধামরাই: লাভের আশায় কলা চাষ শুরু করেছিলেন ঢাকার ধামরাইয়ের কৃষক লুৎফর রহমান। কিন্তু পরপর দুই বছরের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।

সুয়াপুর ইউনিয়নের রৌহারটেক এলাকায় গিয়ে কথা হয় ওই কৃষকের সঙ্গে। এসময় তার কলা ক্ষেত ঘুরে দেখা যায় ক্ষতির চিত্র।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক লুৎফর রহমান জানান, গত ৪-৫ বছর ধরে ৩টি দাগে প্রায় ১৫০ শতাংশ জমিতে কলা চাষ করে আসছিলেন তিনি। এতে প্রতিবছর প্রায় ৭-৮ লাখ টাকা করে আয় হতো তার। কিন্তু গতবছর শুরু হয় বন্যা। জমিতে বন্যার পানি ঢুকে মরে যায় ক্ষেতের সব কলা গাছ। পরে বন্যার পানি নেমে গেলে ফের কলা গাছ রোপণ করেন তিনি। তবে এবারের বন্যায় ফের তলিয়ে মরে যায় তার সব কলা গাছ। মূলধন হারিয়ে এখন কি করবেন ভেবে পাচ্ছেন না তিনি।

তিনি বলেন, আমার পৈত্রিক জমিতে আগে মৌসুমি ফসল রোপণ করতাম। তবে কয়েক বছর আগে ৩-৪ লাখ টাকা ব্যয়ে কলা চাষ শুরু করি। সেসব গাছে প্রতিবছর প্রায় ৭-৮ লাখ টাকার ফলন পেয়েছি।

‘গত বছর হঠাৎ করে আমার সবগুলো ক্ষেতে পানি ঢুকে গেলে সব গাছ মরে যায়। এতে আমার ৫-৭ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। কিন্তু লাভের আশায় এবছর নতুন করে টাকা ব্যয় করে আবারো গাছ লাগাই। সেই গাছ এই বছরই ফলন দিয়েছিলো। সব ঠিকঠাক মতো হলে অন্তত ৬-৭ লাখ টাকা আয় হতো। কিন্তু বন্যায় আবারো সব গাছ মরে গেছে। এখন আমি নিঃস্ব হয়ে পড়েছি।’

এ বিষয়ে ধামরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘গত বছর বন্যায় অনেক চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে এ বছর কলা চাষ বাদ দিয়েছেন অনেকেই। ফলে নতুন করে চাষের হালনাগাদ তথ্য জানা নেই। ওই কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকলে অতিসত্বর খোঁজ নিয়ে রিপোর্ট করা হবে। তাছাড়া কলা চাষীদের জন্য কোন প্রণোদনা আসলে তাতে তাকে যুক্ত করে নেওয়া হবে।

Print Friendly

Related Posts