বাপা-বেন বার্ষিক সম্মেলন ২০২২ ঘিরে মহা আয়োজন

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন) এর যৌথ উদ্যোগে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র সাগর-রুনি মিলনায়তনে “জ্বালানী, জলবায়ু পরিবর্তন ও টেকসই উন্নয়ন” বিষয়ক বাপা-বেন বার্ষিক সম্মেলন ২০২২ সম্পর্কে অবহিতকরণ ও সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি প্রদান উপলক্ষ্যে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি ও বাপা’র সভাপতি, সুলতানা কামাল এর সভাপতিত্বে এবং সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি’র সদস্য সচিব ও বাপা’র সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল-এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্তর্জালে যুক্ত হয়ে সম্মেলনের মূল বক্তব্য প্রদান করেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সহ-সভাপতি ও বেনের প্রতিষ্ঠাতা ড. নজরুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বক্তব্য রাখেন বাপার সহ-সভাপতি ও সম্মেলনের কারিগরি অধিবেশন উপ-কমিটির সহযোগী সভাপতি অধ্যাপক এম ফিরোজ আহমেদ এবং ড. আহমেদ বদরুজ্জামান। এতে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য, শারমীন মুরশিদ ও খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডা. মাহমুদুর রহমান; এম.এস সিদ্দিকী; ইবনুল সাঈদ রানা; রাওমান স্মিতা ও দেওয়ান নূরতাজ আলম প্রমূখ।

উল্লেখ্য যে, আগামী ২০২২ সালের ১১-১২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ ও অর্ন্তজালে বাপা ও বেন এর যৌথ উদ্যোগে জ্বালানী, জলবায়ু পরিবর্তন ও টেকসই উন্নয়ন” বিষয়ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সংবাদ সম্মেলন থেকে উক্ত সম্মেলনের লক্ষ্য, উদ্দেশ্যসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়। সম্মেলন আয়োজনের জন্য ১১টি উপ-কমটি গঠিত হয়েছে বলে জানান সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি’র সদস্য সচিব ও বাপা’র সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল।

সভাপতির বক্তব্যে সুলতানা কামাল বলেন, দেশের নীতি নির্ধারক, বিজ্ঞানী, গবেষক ও জনগনের মধ্যে আরো সমন্বয় প্রয়োজন। যাতে দেশের জনগন উন্নয়নের সুফল থেকে বঞ্চিত না হয়। নীতি নির্ধারনী মহলে একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের অপসংস্কৃতি থেকে বের হয়ে এসে দেশ ও জাতীর প্রয়োজনে বিজ্ঞানী ও গবেষকদের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তাদের মধ্যে এই দূরত্ব দূর করার প্রায়াসেই আমরা বাপা’র সম্মেলনগুলো করে থাকি। আমরা আশা করি সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এসকল সমস্যার সমাধান খুঁজে পাওয়া যাবে।

মূল বক্তব্যে ড. নজরুল ইসলাম সরকার ১০টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করায় নীতিনির্ধারকদের ধন্যবাদ জানান। একই সাথে তিনি সরকারের প্রতি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর সকল কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করার আহবান জানান। বাংলাদেশ আরো বেশী পরিবেশ সহনশীল জ্বালানী নীতির দিকে যাবে বলেও তিনি প্রত্যাশা করেন। তিনি আরো বলেন বিগত দশকগুলোতে বাংলাদেশের জ্বালানী খাত উল্লেখ্যযোগ্য প্রবৃদ্ধি প্রত্যক্ষ করেছে। দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা লক্ষণীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। পূর্বের বিদ্যুৎ ঘাটতির সমস্যা কাটিয়ে উঠেছে। যদিও, অনেক সমস্যা নতুন করে দেখা গিয়েছে, সামনে এগিয়ে যেতে যা কাটিয়ে উঠতে হবে। পরিবেশবাদী সংগঠন, প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাহায্যে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বাপা-বেন বার্ষিক ২০২২ সম্মেলন বাংলাদেশের জ্বালানী খাতের অগ্রগতির নতুন যুগের সমস্যাগুলো আলোকপাত করবে।

সম্মেলনের আলোচ্য বিষয়সমূহ নিম্নরুপঃ

১) জ্বালানী-মিশ্রণ
২) জ্বালানী সরবরাহের সাথে চাহিদার সমন্বয়
৩) জ্বালানীর বিকাশ এবং সরবরাহের ক্ষেত্রে দেশীয় বনাম বিদেশী সূত্র এবং সংস্থার ভূমিকা
৪) জ্বালানীর বিকাশ এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকারী বনাম বেসরকারী খাতের তুলনামূলক ভূমিকা
৫) বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের আকার
৬) বিদ্যুৎ উৎপাদনের স্থান
৭) ভোক্তাদের নিকট জ্বালানী সরবরাহের পন্থা
৮) জ্বালানী উন্নয়ন ধারার আর্থিক স্থায়িত্বশীলতা
৯) জ্বালানী উন্নয়ন ধারার পরিবেশগত স্থায়িত্বশীলতা
১০) জ্বালানী উন্নয়ন ধারার ঝুঁকিমাত্রা
১১) সনাতনী জ্বালানীর ভবিষ্যৎ
১২) জ্বালানী, জলবায়ু পরিবর্তন এবং স্থায়িত্বশীল উন্নয়নের অন্যান্য ইস্যু।

সম্মেলনে উপস্থাপনের জন্য উপযুক্ত যে কোনো একটি বা একাধিক বিষয়ে প্রবন্ধ প্রেরণের সময়সূচী নিম্নরূপ:

৩০ ডিসেম্বর: প্রস্তাবিত প্রবন্ধের অনধিক এক পৃষ্ঠার সার-সংক্ষেপ প্রেরণ
৭ জানুয়ারি: সার-সংক্ষেপের ভিত্তিতে পূর্ণাঙ্গ প্রবন্ধ প্রেরণের আহবান
১৫ জানুয়ারি: পূর্ণাঙ্গ প্রবন্ধ প্রেরণ
১ ফেব্রুয়ারি: পূর্ণাঙ্গ প্রবন্ধ গ্রহণ এবং উপস্থাপনা বিষয়ে তথ্য প্রদান

লেখকদের জন্য প্রবন্ধ প্রেরণের ঠিকানাঃ

বাংলাদেশে বসবাসরত লেখকদের জন্য অধ্যাপক এম ফিরোজ আহমেদকে ferozeahmed45@gmail.com -এ ইমেল করুন এবং কারিগরি অধিবেশন উপ-কমিটির সদস্য সচিব এম এস সিদ্দিকীকে, mssiddiqui2035@gmail.com -এ অনুলিপি সহ লেখকদের তাদের কাগজের প্রস্তাবনা এবং সম্পূর্ণ কাগজপত্র ইমেইল এর মাধ্যমে পাঠাতে অনুরোধ করা হয়েছে।

বিদেশে বসবাসরত লেখকদেন জন্য ড. আহমেদ বদরুজ্জামানের ahmed.badruzzaman@berkeley.edu কাছে পাঠাতে অনুরোধ করা হচ্ছে এবং কারিগরি অধিবেশন উপ-কমিটির সদস্য সচিব এম এস সিদ্দিকীকে, mssiddiqui2035@gmail.com-এ অনুলিপি সহ লেখকদের তাদের কাগজের প্রস্তাবনা এবং সম্পূর্ণ কাগজপত্র ইমেইল এর মাধ্যমে পাঠাতে অনুরোধ করা হয়েছে।

Print Friendly

Related Posts