পর্যটকে মুখরিত চায়ের রাজ্য

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: শীতের শুরুতেই চায়ের রাজ্য মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বাড়তে শুরু করেছে পর্যটক। হোটেল, গেস্টহাউস ও রিসোর্টে পর্যটকে টইটম্বুর। কোনো হোটেলই খালি নেই।

এদিকে সাপ্তাহিক ছুটির দিন ও খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব বড়দিনের ছুটি উপলক্ষে পর্যটকদের ভিড় জমেছে চায়ের রাজ্যে।

আবাসন ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, শ্রীমঙ্গলে প্রায় ৮০টি রিসোর্ট ও কটেজ রয়েছে। তবে সবকটিতেই সিট বুকিং রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত হোটেল-রিসোর্টের সব কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। অনেক পর্যটকই আজ (শুক্রবার) কক্ষ না পেয়ে ফিরে গেছেন।

শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) উপজেলার বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখা যায় পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। নয়নাভিরাম চা–বাগান, চা জাদুঘর, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, ডিনস্টন সিমেট্রি, চা- কন্যা ভাস্কর্য, নির্মাই শিববাড়ি, চা গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ বন্য প্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন, খাসিয়াপুঞ্জি, মণিপুরী পাড়া, গারোপল্লি, সাত রঙের চায়ের দোকান, লেবু ও আনারস বাগান, রাবার বাগান, হাইল হাওর, বাইক্কা বিলসহ প্রাকৃতিক পরিবেশে গড়ে ওঠা রিসোর্টগুলোতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন পর্যটক।

ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজিচালিত মাইক্রোবাস, বাস ইত্যাদি নিয়ে পর্যটকেরা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাচ্ছেন। পর্যটকদের আগমনে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে শ্রীমঙ্গল শহরে।

শ্রীমঙ্গল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) নয়ন কারকুন বলেন, শ্রীমঙ্গলে আসা পর্যটকরা যেন পর্যটনকেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারেন, সে জন্য পুলিশের টহল অব্যাহত রাখা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে পুরো মৌলভীবাজারে। পর্যটকদের সুবিধার জন্য যা যা করার আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি। পর্যটকদের সুবিধা হয় সেজন্য আমরা ট্যুরিস্ট বাস চালু করেছি।

 

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts