শপথ গ্রহণের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে শিল্পী সমিতির ২০২২-২০২৪ মেয়াদের দায়িত্ব বুঝে নিলেন সভাপতি পদে জয়ী ইলিয়াস কাঞ্চন ও সাধারণ সম্পাদক নিপুণ।ঠিক যেন এক সিনেমাটিক কাহিনী।যা বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের মতো, কোথা থেকে কী হচ্ছে তার কিছুই বুঝতে পারছেন না সাধারণ মানুষ। অনেকেরই প্রশ্ন, শিল্পী সমিতিতে এটা কি হচ্ছে। কেউ কেউ বিষয়টিকে হাস্যকর হিসেবেই দেখছেন।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রবিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নায়ক মান্না ডিজিটাল কমপ্লেক্সের সামনে নবনির্বাচিত তারকাদের শপথ বাক্য পাঠ করান পরাজিত প্রার্থী মিশা সওদাগর।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে শপথ নেন কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের বিজয়ী সহ-সাধারণ সম্পাদক সাইমন সাদিক, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ইমন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহনূর, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক আরমান, কোষাধ্যক্ষ আজাদ খান।
ছিলেন কার্যকরী সদস্যপদে বিজয়ী অমিত হাসান, ফেরদৌস, জেসমিন, কেয়া।
শপথ পড়ানো অনুষ্ঠানে মিশার উপস্থিতি এক নজির স্থাপন করেছে বলে মন্তব্য করেন নায়ক আলমগীর। এদিকে মিশা সওদাগর বলেন, কাঞ্চন ভাই একবার ডাকায় আমি চলে এসেছি। অতীতের ভেদাভেদ ভুলে সামনে এগিয়ে যেতে চাই। আমাকে যখনই ডাকা হবে আমি উপস্থিত থাকবো।
এসময় শিল্পী সমিতির নির্বাচনে আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান ও চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান, সহকারি নির্বাচন কমিশনার জাহিদ হোসেন, নায়ক আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।
তবে এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আসেননি পরাজিত আরেক প্যানেলের বিজয়ী ২জন সহ-সভাপতি ডিপজল ও রুবেল, আন্তর্জাতিক সম্পাদক জয় চৌধুরী। এই প্যানেল থেকে কার্যকরী সদস্য পদে জয়ী হয়েও শপথ গ্রহণ নেননি রোজিনা, অঞ্জনা, অরুণা বিশ্বাস, আলীরাজ।
২৮ জানুয়ারি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পরদিন ভোরে ফলাফল ঘোষণা করা হয় নির্বাচনে সভাপতি পদে মিশা সওদাগরকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। অন্যদিকে, তর্ক-বিতর্কের মধ্য দিয়ে জায়েদ খানের কাছে ১৩ ভোটে হেরে যায় নিপুণ।
ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই নিপুণ ছিলেন সোচ্চার। তিনি জায়েদের বিরুদ্ধে ভোটারদের টাকা দেয়ার অভিযোগ এনে নির্বাচনী আপিল বোর্ডে অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের উপযুক্ত সত্যতা পায় আপিল বোর্ড। পরে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে যাচাই বাছাই শেষে শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।