সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় শ্রীময়ী চট্টরাজ মল্লিক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দীর্ঘ এক পোস্ট দিয়েছেন শ্রীময়ী। যেখানে তার বাবা-মায়ের ৪২তম বিবাহ বার্ষিকীতে সম্পর্ক নিয়ে শ্রীময়ী বলেন, ‘তার চোখে শ্রেষ্ঠ উদাহরণ বাবা-মা। কেউ বয়সের পার্থক্য করেছেন, কেউবা আবার সম্পর্কের সমীকরণ।’
অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘আমার মা-বাবারও বয়সের পার্থক্য প্রায় ১০ বছর। দীর্ঘ ৪২ বছর তারা একসঙ্গে বিবাহিত জীবন পার করেছেন। খারাপ-ভালো সব মুহূর্ত কাটিয়েছেন। আমি কখনও দেখিনি তাদের মধ্যে চূড়ান্ত অশান্তি, একে অন্যের প্রতি অসম্মান, কখনও শুনিনি মা-বাবাকে অকথ্য ভাষায় কথা বলা।’
শ্রীময়ী বলেন, ‘আমরা শৈশবটা শৈশবের মতো করেই কাটিয়েছি। আমার মা হয়ত কোনও অফিসে চাকরি করেননি, কিন্তু বাড়ির যে চাকরিটা পালন করেছে তার জন্যই বোধহয় আমার, দিদির, আমার দিদির মেয়েরা, এমনকি এখন আমার মেয়েও আদরে-যত্নে বড় হচ্ছে। বাবা অফিস থেকে এসে কী খাবে, আমাদের কোনটা দরকার, কোন টিচার দরকার, কোন খাবারটা মুখের কাছে তুলে দেওয়া দরকার।’
শ্রীময়ীর কথায়, ‘জ্বর হলে সারারাত জেগে বসে থাকা, জলপট্টি দেওয়া, আমাকে স্কুলে নিয়ে যাওয়া, টিউশনে নিয়ে যাওয়া, দিদিকে স্কুলে নিয়ে যাওয়া, টিউশনে নিয়ে যাওয়া, আমাকে একটা সময় পর্যন্ত শুটিংয়ে পৌঁছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাইরে অপেক্ষা করে থাকা, এগুলো সব মায়ের অবদান।’
অভিনেত্রী বলেন, ‘মা হওয়ায় মনের জোরও তিনি পেয়েছেন পরিবারের থেকেই। তাই তিনি খুবই গর্বিত এমন পরিবার পেয়ে। আমার মা-বাবা জাঁকজমকে বিশ্বাস করেন না। কোনও আড়ম্বরে বিশ্বাস নেই তাঁদের। শুধু সকলে মিলে একসঙ্গে হয়ে কাজ করবেন এটাই চান তারা।’
পরিবারের সকলের একসঙ্গে ছবি ভাগ করে তিনি লিখেছেন, এভাবেই যেন সকলে মিলে একসঙ্গে দিন কাটে। সারাজীবন তাদের বটগাছের মতো আগলে রাখেন মানুষগুলো।