কবি কাজী জহিরুল ইসলামকে ঘিরে ঢাকায় মিলনমেলা

কবি কাজী জহিরুল ইসলাম এখন জাতিসংঘ সদরদপ্তরে কর্মরত আছেন। অত্যন্ত ভালো মনের একজন মানুষ। শত ব্যস্ততার মাঝেও মা এবং মাটিকে ভুলেননি, ছুটে এসেছেন সুদূর আমেরিকা থেকে।

শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় কবি কাজী জহিরুল ইসলামকে ঘিরে ‘কাছের মানুষ দূরের গল্প’ শিরোনামে ঢাকার একটি পাঁচতারা হোটেলে এ উপলক্ষে এক মিলনমেলার আয়োজন করে এনএস পাবলিকেশন্স লিমিটেড।

ব্যানারে লেখা ছিল, ‘বসন্তের সন্ধ্যায় হৃদয়ের উষ্ণতা বিনিময়। কবি কাজী জহিরুল ইসলামের সান্নিধ্যে কিছুক্ষণ। সান্ধ্য-কফির কাপে আমাদের যৌথ-চুমুক।’

এনএস পাবলিকেশন্সের সিইও এম ই চৌধুরী শামীমের সভাপতিত্বে কবির নানান দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন কবি জাহিদুল হক, ড. মাহবুব হাসান, জরিনা আখতার, নাসরীন নঈম, রেজাউদ্দিন স্টালিন, রহিমা আখতার কল্পনা, ড. ফজলুল হক তুহিন, রেজা অনিরুদ্ধ, শাহীন রেজা, ফেরদৌস সালাম, মুহাম্মদ আব্দুল বাতেন, সাইফ বরকতুল্লাহ, মেজর মাহফুজ আহমেদ, সায়ীদা খানম রুনু প্রমুখ।

কবির কবিতা থেকে আবৃত্তি করেন বেলায়েত হোসেন, নীলা হাসান, হাবীবা হূদা, খালিদ মিঠু ও শারমিন রুবি।

অনুষ্ঠানে কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন বলেন, আমাদের কালের একজন গুরুত্বপূর্ণ কবি কাজী জহিরুল ইসলাম। তিনি শুধু ছন্দ সচেতনই না, একজন ছন্দ বিশেষজ্ঞ। কখনো ছন্দ নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হলে আমি নিজেও জহিরকে ফোন দিয়ে ছন্দটা জেনে নিই। সব বক্তাই তার স্পষ্টবাদিতা ও সত্য বলার ক্ষমতাকে কবি নজরুলের সঙ্গে তুলনা করেন। কবি জাহিদুল হক তার ভিন্ন উচ্চতার ইল্যুশন তৈরির ক্ষমতার কথা উল্লেখ করেন এবং তা ছন্দে বাঁধতে পারার প্রশংসা করেন।

কবি নাসরীন নঈম বলেন, জহির একজন ভার্সেটাইল লেখক। তিনি শুধু উঁচু মাপের কবিই নন, একজন শ্রেষ্ঠ ভ্রমণ লেখক।

কবি ড. মাহবুন হাসান ও তার ভ্রমণ রচনার ভূয়সী প্রশংসা করেন। চৌধুরী শামীম সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে স্কলার্সের অন্যান্য কর্মকাণ্ডের কিছু ত থ্য উপস্থাপন করেন যার মধ্যে এথিক্স ক্লাবের সাফল্যের কথা বিশেষভাবে গুরুত্ব পায়।

অনুষ্ঠানের মধ্যমনি কবি কাজী জহিরুল ইসলাম বলেন, একজন কবি রাজনীতির চেয়ে অনেক বড়ো, কবি কখনো কোনো দল বা মতবাদের ভেতরে ঢোকেন না, কবির কবিতা থেকে তৈরি হয় দল, মতবাদ।

তিনি বলেন, পৃথিবীর সব প্রাণীই যুক্ত এবং আমরা সবাই একে অন্যের সহোদর। সত্য যত নির্মম হোক আমাদের সত্য বলা শিখতে হবে, সত্য শোনাও শিখতে হবে।

Print Friendly

Related Posts