নিলুফার জেসমীন রুমা: এবারের বইমেলায় প্রকাশিত হলো, তার তৃতীয় উপন্যাস ‘বৃষ্টি বিলাসী মেয়ে’।এক নিঃশ্বাসে পুরো উপন্যাসটি পড়ে ফেলা যায়। বইটির প্রতিটি ভাঁজে ভাঁজে নামকরণের সার্থকতাও খুঁজে পাওয়া যায়।
একটি চতুর্ভুজ প্রেম ও একটি ত্রিভুজ প্রেমের কাহিনী নিয়ে রচিত আরিফা রহমানের ‘বৃষ্টি বিলাসী মেয়ে’।
উপন্যাসটি একদিকে যেমন আমার পাঠক মনকে রহস্যের জালে বন্দি করেছে, অন্যদিকে তেমনি পড়ার আগ্রহ বাড়িয়ে শেষঅব্দি নিয়ে গেছে।
উপন্যাসটির মূল চরিত্র সুমাইয়া, তৌফিক, বৃষ্টি ও হাবিবের চতুর্ভুজ প্রেমের মধ্যে ভালোবাসা ও ত্যাগ স্বীকারের অপার মহিমায় প্রতিটি চরিত্রই গুরুত্ব বহন করেছে।অন্যদিকে সাকিব, নাহিদা ও আখির ত্রিভূজ প্রেমের চরিত্রগুলোও বেশ অর্থবহ হয়ে ফুটে উঠেছে।
উপন্যাসটি পড়ার সময় কিছু ঘটনার পরিপেক্ষিতে অনেক ধরনের উদ্ধৃতির মাঝে লেখিকার লেখা একটি উক্তি আমার হৃদয় স্পর্শ করেছে তাহলো, “উপকার করা ভালো, তবে নিজেকে নিঃস্ব করে নয়।” -হ্যাঁ প্রতিটি মানুষের কিছু নিজস্ব সত্ত্বা থাকে, কথা থাকে যা কখনোই কাউকে বলা হয় না, বলা যায় না।তবুও জীবন সুন্দর।
উপন্যাসটি ব্যক্তিগত সংগ্রহে রাখার মতো।
উপন্যাসের প্রচ্ছদ: আরিফা রহমান
প্রকাশক : মো: খালেদউদ্দিন
অনলাইনপরিবেশক: রকমারিডটকম
প্রকাশনী: বুনন
পৃষ্ঠা: ৯৬
মূল্য: ৩০০টাকা
সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিক আরিফা রহমানের লেখালেখি শুরু ছোটবেলা থেকেই।তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়া, কবিতা, গল্প লেখার পাশাপাশি দেশের পত্র- পত্রিকাগুলোতে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে নিয়মিত কলাম লিখেন। ২০০৩ সালে তার প্রথম উপন্যাস ‘মুক্তিরপথে’ এবং ২০০৫ সালে দ্বিতীয় উপন্যাস ‘অনেক স্বপ্নের পর’ প্রকাশিত হয়।
জন্ম : ২৪ ডিসেম্বর ১৯৭৯, ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানার পয়ারকান্দি গ্রামে।ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া মহাবিদ্যালয় থেকে বিএসসি শেষ করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগ থেকে এমএসসি সম্পন্ন করেন। পেশাজীবন শিক্ষকতা দিয়ে শুরু করলেও ‘দৈনিকজনতা’ পত্রিকায় সাংবাদিকতা পেশায় যাত্রা করেন ২০০৫ সাল থেকে।২০১১ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সংবাদ২৪ডটনেট-এর সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ও বিএফইউজে- বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য।বর্তমানে তিনি নাভানা ফার্মাসিটিক্যাল লিমিটেড-এর এরিয়া ইন্টারপেইনার হিসেবে কর্মরত আছেন।