শৌল বৈরাগী: গত ২ মার্চ দীনেশ চন্দ্র সেন রিসার্চ সোসাইটির আয়োজনে কোলকাতায় শরৎচন্দ্র বাস ভবন অডিটরিয়ামে হাসানুল কাদির এর লেখা ও শাওয়াল খান সম্পাদনায় গুসি আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ‘মাতৃবন্ধু এএইচএম নোমান’ গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন হলো।
মোড়ক উন্মোচন করেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কথা সাহিত্যিক ড. সুরঞ্জন মিদ্দে ও বাংলা একাডেমির চেয়ারম্যান সেলিনা হোসেন (বাংলাদেশ), কথা সাহিত্যিক অলক মন্ডল, দীনেশ চন্দ্র সেন রিসার্স সোসাইটির সভাপতি সমাজ আচার্য ড. অরূপ মিত্র, সুরেন্দ্র কুমার সিংহ (জি,এম) ও এপিবি বিড়লা স্কুল এবং সোসাইটির সম্পাদক দেবকন্যা সেন।
অনুষ্ঠানে কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত ‘মাতৃবন্ধু এএইচএম নোমান’ গ্রন্থটি এই মঞ্চে মোড়ক উন্মোচন হওয়ায় গর্ববোধ করছি।
বইয়ের সার সংক্ষেপ তুলে ধরেন সাংস্কৃতিক কর্মী শৌল বৈরাগী (বাংলাদেশ)।
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধত্তোর বাংলাদেশে সমবায়, বিশ্বগ্রাম, সোয়াবিন, মানবাধিকার, নির্বাচন, নেটওয়ার্ক নিয়ে লেখা ও সাক্ষাৎকার ভিত্তিক বহুমাত্রিক কার্যধারাসহ ৯টি অধ্যায়ে বইটি গ্রন্থিত।
মুখবন্ধ লিখেছেন দৈনিক ইত্তেফাক ও পাক্ষিক অনন্যা সম্পাদক অনন্য তাসমিমা হোসেন।
১৯৭২ সালে আহ্বান ‘চল গ্রামে যাই’ ও সর্বশেষ ২০২১ এ ‘চলার পথের কথা’ সহ মোট ৮টি বইয়ের প্রণেতা এএইচএম নোমান (৭৬) এর সার কথাসমূহও ‘মাতৃবন্ধু’তে স্থান পেয়েছে।
গ্রন্থে জনাব নোমানের কর্মজীবনের অর্ধশত বছরের পথ পরিক্রমায় সুদূর প্রসারী কার্যাদি অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। তম্মধ্যে সরকার কর্তৃক সারা বাংলাদেশের গ্রামে গ্রামে পরিচালিত গরীব মায়েদের জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতা ও তৎকেন্দ্রিক পাইলট ‘স্বপ্ন’ প্যাকেজ হৃদয়গ্রাহী হয়ে ধৃত ও উচ্চতায় এসেছে। এ থেকেই ‘মাতৃবন্ধু এএইচএম নোমান’ নামকরণের মাধ্যমে গ্রন্থটিকে লেখক ও প্রকাশক পাঠকদের কাছে উপস্থাপন করেছেন।
গ্রন্থটিতে ফেডারেশন অব এনজিওস ইন বাংলাদেশ (এফএনবি) চেয়ার জনাব জাকির হোসেন ‘প্রচারহীন নোমান ভাই’, কোলকাতার দেবকন্যা সেন- ‘প্রতিষ্ঠাতা ডরপ: অসামান্য এইএইচএম নোমান’, কবি রোকেয়া ইসলাম ‘সমাজ বদলের শুদ্ধমন্ত্র বুকে’ আখ্যায়িতসহ অনেক বিদগ্ধজনের বক্তব্য গ্রন্থিত আছে।
অভিব্যক্তিপূর্ণ প্রচ্ছদ এবং পেছনের পৃষ্ঠায় ‘শান্তি ও গরীবী একসাথে হাঁটতে পারে না’ প্রতীকী ছবিসহ উদ্ধৃতি এবং আমাদের প্রিয় লাল সবুজ পতাকার রং মিশিয়ে জাতীয় পোশাক করার দাবী জানান দিয়ে গণমানুষের সঙ্গে থাকা জনাব নোমানের জীবন কথামালা দিয়ে গ্রন্থটি শেষ করেন। মুক্তিযুদ্ধোত্তর বাংলাদেশে অর্থনৈতিক মুক্তির পথ-পন্থা, অলিগলি, রাষ্ট্রীয় পরিচর্যা, গ্রহণীয়তা ও পরিচালনার অনেক টেকসই ধারাবাহিকতার ইতিহাসে ভরপুর গ্রন্থটি একটি ব্যাপক অনুশীলনকৃত দলিল। গ্রন্থটির প্রকাশক: প্রতিবুদ্ধিজীবী।
৩ মার্চ কোলকাতা আন্তর্জাতিক বই মেলার মহাত্মা গান্ধী স্মারক সংগ্রহালয় স্টলে মাতৃবন্ধু এএইচএম নোমান গ্রন্থটি ১৯৩২ সালে মহাত্মা গান্ধী প্রতিষ্ঠিত নিখিল ভারত হরিজন সেবক সংঘের সভাপতি ড. শংকর কুমার সান্যাল এর হাতে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় গান্ধী স্মারক সংগ্রহালয়ের রাখাল চন্দ্র দাসসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
একই দিনে কোলকাতা আন্তর্জাতিক বই মেলায় শ্রদ্ধেয় শ্রী পুর্ণেন্দু বসু এমএলএ, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কেবিনেট মন্ত্রী মেলার ‘জাগো বাংলা’ চত্বরে ১. মাতৃবন্ধু এএইচএম নোমান ২. ‘এএইচএম নোমান’ গুসি আন্তর্জাতিক শান্তি পুরষ্কার বিজয়ী এবং ৩. চলার পথের কথা- তিনটি গ্রন্থ পশ্চিমবঙ্গের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর জন্য শ্রদ্ধেয় এমপি দোলা সেনের হাতে হস্তান্তর করা হয়।