জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা কাজী মারুফ এখন বসবাস করেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে। ঢাকাই চলচ্চিত্রের এক শ্রেণির দর্শকের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা এই অভিনেতার হুট করেই দেশ ছাড়ার কারণে অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন। বর্তমানে স্ত্রীকে নিয়ে স্থায়ীভাবেই মার্কিন মুলুকে বসবাস করছেন।
কিন্তু কেন দেশ ছেড়েছিলেন মারুফ? এই প্রশ্ন এখনো ভক্তদের মনে সুপ্ত হয়ে জমা রয়েছে।
অবশেষে জমানো সে প্রশ্নের জবাব দিলেন মারুফ নিজেই। নিজের ফেসবুক চ্যানেল ‘ফিল্ম ফ্যাক্টরি ইন নিউ ইয়র্ক’-এ লাইভে এসে অভিনেতা জানালেন অনেক প্রশ্নের উত্তর।
মূলত ঢাকাই ইন্ডাস্ট্রিতে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েই দেশ ছাড়তে হয়েছিল অভিনেতাকে। বাবা কাজী হায়াতই তাকে দেশ ছাড়তে বলেছিলেন এমনটাই জানিয়ে মারুফ বলেন, ‘বাংলাদেশে সিনেমা হচ্ছিল না। তেমন কাজ ছিল না। কিন্তু কিছু তো করে খেতে হবে। তা ছাড়া আমাদের ‘ছিন্নমূল’ সিনেমা ১৪ ফেব্রুয়ারি মুক্তির কথা ছিল। সেভাবেই টার্গেট করেছিলাম। কিন্তু সিনেমাটি মুক্তি দিতে দেয়নি একটি বড় প্রযোজনাপ্রতিষ্ঠান। পরিচালক ছিলেন আমার আব্বা। তারা আমার আব্বাকে বলেছিলেন, আমরা রিলিজ করতে না দিলে কিভাবে রিলিজ করবেন? আমার আব্বার মতো মানুষকে এই কথা শুনতে হয়েছিল। সেদিন আব্বা বাসায় এসে বললেন, আমি এই বয়সে যুদ্ধ করব? আমি চাই না তুমিও যুদ্ধ করো এদের সঙ্গে। চলে যাও আমেরিকা। এসব কারণেই বাংলাদেশ ছেড়ে চলে এসেছি। ’
এর পেছনে পারিবারিক কারণও রয়েছে বলে ‘ইতিহাস’খ্যাত অভিনেতা মারুফ বলেন, ‘একবার আমার মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করাই। হাসপাতালে আমার মেয়েকে এমনভাবে স্যালাইনের সিরিঞ্জ শরীরে প্রবেশ করানো হচ্ছিল, সেটা আমি দেখতে পারছিলাম না। সেই দৃশ্য দেখে চুপ হয়ে ছিলাম। তখন আমার চোখ বন্ধ করে রেখেছিলাম। ’
মারুফ জানান, সেদিনই তিনি সিদ্ধান্ত নেন এক সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাবেন। যুক্তরাষ্ট্রে মারুফের ব্যবসা রয়েছে। সেখানে তিনি সিনেমাও নির্মাণ করার পরিকল্পনা করছেন বলে লাইভে জানালেন।