এক আবেগপূর্ণ পোস্টে নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে শবনম ফারিয়া জানিয়েছেন-শুধু বাবার জন্যই, বাবার দেখানো পথের কারণেই কখনও দেশান্তরী হবেন না।
কাছের অনেক বন্ধুই দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছেন, উন্নত জীবনযাপন করছেন। কিন্তু তিনি যাচ্ছেন না।
এক সময় তাদের অনেক কটাক্ষও করছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা গেল তারাই ঠিক করেছেন, ফারিয়া অনর্থক বকে গেছেন।
এ বিষয়ে ফারিয়া ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমার সব বন্ধু বান্ধবই বিদেশ! সব মানে সব! যারা পারমানেন্টলি বিদেশ চলে গেছে , তাদের আমি অনেক বুলি করতাম! বেইমান ডাকতাম! বলতাম দেশের টাকায় পড়ে এখন বিদেশে মেধা পাচার করছে! ইনফেক্ট যারা বিদেশে পড়াশুনা করে ভাল রেজাল্ট করার পরেও দেশে ফেরত এসেছে, তাদের প্রতি আমার আলাদা শ্রদ্ধা কাজ করে!’
এখন হতাশ হচ্ছেন উল্লেখ করে ফারিয়া বলেন, ‘যতদিন যাচ্ছে কেন জানি হতাশ হয়ে যাচ্ছি! এখন মনে হয় , আমি বোকা দেখেই দেশ নিয়ে এতো ফেসিনেটেড !
আমার সব বন্ধুরা বুদ্ধিমান! ওরা চেরিব্লসমের সামনে ছবি দেয়, আমি গরমে ঘামতে ঘামতে জ্যামে বসে সেই ছবি দেখি! ওরা যেই দামে মারসেটিজ কিনে চালায় , ঐ দামে আমি এখানে করলা এক্স কিনে চালাতে পারি না! বিদেশ ঘুরতে গেলে মনে হয় , ৫০ডলারে এ কত কিছু খেলাম। অথচ ঢাকায় ৫ হাজার টাকায় মোটামুটি ভাল কোথাও দুইজন খেলে পেট ভরে না!’
দেশের পর্যটন শিল্প নিয়েও আক্ষেপ রয়েছে ফারিয়ার। লিখেছেন, ‘ঘুরতে যাবো দেশের মধ্যে, কক্সবাজার এ- একটু ভাল হোটেলের ভাড়াই শুরু হয় ১২ হাজার থেকে, এই একই মানের হোটেল নেপালেও ৩/৪ হাজার টাকা!’
বাবার দেখানো পথেই থাকবেন জানিয়ে দেবী চলচ্চিত্রের এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার বাবা পেশায় চিকিৎসক হলেও, সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন স্বাস্থ ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে, জীবনের ৩০ বছরের বেশি সময় তিনি এই দেশের জন্য কাজ করেছেন! আমিও তার দেখানো পথেই থাকতে চাই! এই দেশেই থাকতে চাই! এই দেশের বাইরে কোথাও আমি ৭ দিনের বেশি থেকে শান্তি পাই না! কিন্তু এই হতাশাও ভাল লাগে না!’