ঈদে মুক্তি পাচ্ছে নবাগত নায়িকা রোজের ‘বড্ড ভালোবাসি’

আহমেদ সাব্বির রোমিও: নামের আগে চিত্রনায়িকা শব্দটি ব্যবহারের জন্য বিক্রি করছেন নিজের জমি। সিনেমার শীর্ষ নায়িকা হওয়ার জন্য ছোটবেলায় চট্টগ্রামের আনোয়ার এলাকার বাড়ি ছেড়েছিলেন সুলতানা রোজ। গত ১৫ বছর ধরে নায়িকা হওয়ার আশায় চলচ্চিত্র পাড়ায় ঘুরে বেরিয়েছেন। কিন্তুু ভাগ্যের চাকা কিছুতেই ঘুরছিলো না। মহরৎ হয়, ২/৪ দিন স্যুটিং তারপরে সব শেষ! এভাবেই চলছিলো রোজের নায়িকা হওয়ার বন্ধুরপথ।

‘টাকা বড় না শিক্ষা বড়’, ‘বাবার প্রতিশোধ’, ‘আমাদের বাউল’, ‘টাইটানিক’সহ বেশ কটি ছবিতে অভিনয় করলেও সেইসব ছবি আলোর মুখ দেখেনি। শেষে পৈতৃক সম্পত্তির কিছু অংশ বিক্রি করেন। এদিক সেদিক থেকে ম্যানেজ করে ৮৬ লাখ টাকা খরচ করে নিজেই প্রযোজক হয়ে ছবি নির্মাণের উদ্যোগ নেন। অবশেষে দীর্ঘ্য ১৫ বছর পরে ভাগ্য দেবতা তার দিকে মুখ তুলে চাইলো! আসছে ঈদে রোজের নায়িকা হওয়ার সেই কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে।

গত বুধবার এফডিসির ক্যান্টিন চত্বরে আলাপ কালে রোজ বলেন , বহু কাঠখড় পুড়িয়ে নায়িকা হয়েছেন। তার অভিনীত সেই সিনেমার নাম ‘বড্ড ভালোবাসি’, পরিচালনা করেছেন জুয়েল ফারসি।

তিনি জানান, নায়িকা হওয়ার জেদ করেছিলেন। সেই জেদ তিনি পূরণ করছেন। শেষ পর্যন্ত নিজেই লগ্নি করে হয়েছেন নায়িকা!

এই নবাগতা জানান, আগামীতে তার প্রযোজক সমিতির নির্বাচনে অংশ নেয়ার ইচ্ছে আছে। সে কারণে ছবি মুক্তি দিচ্ছেন। আরও জানান, তার ‘বড্ড ভালোবাসি’র বেশীরভাগ শিল্পী কলকাতার। রোজের ইচ্ছে ছিল, আগে কলকাতায় ছবিটি মুক্তি দেবেন। বললেন, আমার আব্বু মারা যাওয়ার পর আর কলকাতায় মুক্তি দেয়া সম্ভব হয়নি। পরে করোনা চলে আসে। এবার ঈদে মুক্তি দিচ্ছি। গলুই, বিদ্রোহী- এসব ছবির আগেই আমার এই ছবি মুক্তি দেব সিদ্ধান্ত নিই।

‘বড্ড ভালোবাসি’র প্রসঙ্গ টেনে এই নবাগতা বলেন, ৯০ দশকের ধাঁচে ছবি বানানো হয়েছে। কারণ ওই সময়ের ছবিগুলো মানুষ বেশি দেখতো। আমিও তখনকার ছবি দেখে নায়িকা হতে আগ্রহী হই। ৯০ দশকে যেসব দর্শক ছবি দেখতে পছন্দ করতেন আমার বিশ্বাস তারা হলে গিয়ে আমার এই ছবিটা দেখবে। আমি এখানে ডাবল ক্যারেক্টার করেছি। রিস্ক নিয়ে কাজ করেছি।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts