জনি ডেপের সেই স্ত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দিলেন এক সৌদি

দিন কয়েক আগেই সাবেক স্ত্রী অ্যাম্বার হার্ডের বিরুদ্ধে দায়ের করা মানহানির মামলায় জিতেছেন জনি ডেপ। ক্ষতিপূরণ দিতে অ্যাম্বারের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রায় নিয়ে বেশ বিপাকেই পড়েছেন মার্কিন অভিনেত্রী অ্যাম্বার।

অভিনেত্রীর আইনজীবী জানিয়েছেন, তার মক্কেলের পক্ষে এই মুহূর্তে ১১৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া সম্ভব নয়। এসব কাহিনী নিয়ে যখন নেটপাড়া উত্তাল ঠিক সেই মুহূর্তে সামনে এসেছে আরেক ঘটনা। এক সৌদি বাসিন্দা নেট মাধ্যমে অ্যাম্বারকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন। আর সেই প্রস্তাবের স্ক্রিনশট মুহূর্তে ভাইরাল নেট দুনিয়ায়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রাম একাউন্টে সৌদি অই ব্যক্তি আরবি ভাষায় লিখিত বিয়ের প্রস্তাবের পাশাপাশি হলিউডের বিখ্যাত অভিনেত্রীর উদ্দেশে ভয়েস মেসেজও পোস্ট করেন ।
তার আরবি ভাষায় করা মেসেজের বাংলা তর্জমা দাঁড়ায়, ‘অ্যাম্বার, যখন তোমার জীবনের সব দরজা বন্ধ হয়ে গেছে, তখন আমি ছাড়া তোমাকে খেয়াল করার মতো কেউ নেই। আমি জানি, অনেকেই তোমাকে কটাক্ষ করছে, সেই কারণেই ঠিক করেছি আমি তোমাকে বিয়ে করব। ঈশ্বর আমাদের দুজনকে আশীর্বাদ করুন। তোমার জন্য ওই বুড়োর (জনি ডেপ) চেয়ে আমি অনেক ভালো পাত্র।

প্রেমের সম্পর্কে থাকার পর ২০১৫ সালে ৩০ বছর বয়সের অ্যাম্বার বিয়ে করেছিলেন ৫২ বছরের জনি ডেপকে। মাত্র ১৫ মাস টিকেছিল তাদের বিয়ে। এরপর বিবাহবিচ্ছেদের পথে হাঁটেন দুজনে। পরবর্তী সময়ে ২০১৬ সালে আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদের আবেদন করেন হলিউড তারকা দম্পতি জনি ডেপ ও আম্বার হার্ড।

২০১৮ সালে সেই নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট-এ একটি উপসম্পাদকীয় লেখেন আম্বার হার্ড। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, জনি তাকে শারীরিক, মানসিক ও মৌখিকভাবে নির্যাতন করেছেন। অবশ্য ডেপ সেসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পরে সাবেক স্ত্রীর নামে ৫০ মিলিয়ন ডলারের মানহানির মামলা করেন জনি। হার্ডও উল্টো ১০০ মিলিয়ন ডলার মানহানির মামলা করেছিলেন জনির বিরুদ্ধে।

৩১ মে  মামলাটির চূড়ান্ত শুনানি শুরু হয়। তিন দিন ধরে সাত সদস্যের জুরি প্রায় ১৩ ঘণ্টার বেশি শুনানির পর এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতে জনির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অ্যাম্বারকে ১৫ মিলিয়ন বা দেড় কোটি ডলার জরিমানার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বিবিসি তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, অ্যাম্বার হার্ডের এ রায়ের বিরুদ্ধে এখনো আপিল করার সুযোগ রয়েছে। তবে তিনি আপিল করবেন কি না, বিষয়টি এখনো পরিষ্কার নয়।

জুরি সদস্যরা জানিয়েছেন, অ্যাম্বার সাংসারিক অশান্তির কারণ হিসেবে জনির বিরুদ্ধে যে কটি অভিযোগ এনেছিলেন, তা ‘মিথ্যা এবং অবমাননাকর’। এ কারণে অ্যাম্বারকে দেড় কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি জনির বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ আনার পেছনে অ্যাম্বারের ‘অসৎ উদ্দেশ্য’ ছিল বলেও আদালত জানিয়েছেন।

সাবেক স্ত্রী অ্যাম্বারের নারী নির্যাতনের মামলার পর একের পর কাজ হারিয়েছেন জনি ডেপ। যেসব প্রজেক্টের কাজে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন, সেসব কাজ থেকেও বাদ পড়েছিলেন জনি। অবশেষে মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি মিলল জনির।
Print Friendly

Related Posts