মেট্রো নিউজ : দেব-শুভশ্রীর বিয়ে। আর বর কর্তা পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। সৌজন্যে ‘ধুমকেতু’। চার বছর পর ফের বড়পর্দায় ফিরছেন দেব-শুভশ্রী। নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পর্কের টানাপড়েন থেকে বেরিয়ে এসে কেমন করে নিজের ছবির জন্য দেব-শুভশ্রীকে রাজি করালেন কৌশিক? নৈনিতালে শুটিংয়ে যাওয়ার পথে ধরা গেল কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়কে।
দেব-শুভশ্রীকে একসঙ্গে রাজি করালেন কী ভাবে?
দেখুন, ওরা প্রফেশনাল। আমি যেমন আমার ব্যক্তিগত জীবনে কাউকে ঢুকতে দিই না। তেমনই কেউ সে সব নিয়ে কাজের ক্ষেত্রে অসুবিধেয় পড়ুক আমি চাই না। আমি আর আমার প্রোডিউসার দাগ ক্রিয়েটিভ মিডিয়ার রানা সরকার ওদের সঙ্গে আলাদা আলাদা ভাবে কথা বলেছি। ওরা রাজি হওয়ার পরই আমরা এগিয়েছি।
তবুও সম্পর্ক ভাঙার পর তো ওঁনারা একসঙ্গে আবার ছবি করবেন ভাবাই যায়নি।
আমার তো আলাদা কোনও ক্রেডিট আছে বলে মনে হয় না। এ গল্পে আমার অভিনেতা-অভিনেত্রী দরকার ছিল। ওরা হান্ড্রেট পার্সেন্ট সেই চাহিদা পূরণ করেছে।
সেটে কোনও আন্ডার-কারেন্ট নেই দেব-শুভশ্রীর মধ্যে?
কেন থাকবে বলুন তো? আফটার অল ওরা প্রফেশনাল। বরং শুটিংয়ের মধ্যে আমরা একসঙ্গে বসে আড্ডা দিচ্ছি। খাওয়া-দাওয়া করছি। আর ওদের সঙ্গে কাজ করে আমার একটা দারুণ অভিজ্ঞতা হল।
সেটা কী?
তথাকথিত স্টার নিয়ে তো এতদিন আমি কাজ করিনি। তাই আমি ভাবতাম শুটিংয়ে তাঁরা কেমন হবেন কে জানে? কিন্তু দেবকে দেখে আমি মুগ্ধ। সেটে শুধুই ও অভিনেতা। অন্য সব কিছু ঝেড়ে ফেলে দিয়ে তখন শুধু কাজটাই ফোকাস। আর শুভশ্রীর কথাও বলব। যত বার প্রয়োজন হচ্ছে টেক দিচ্ছে। ওদের ধৈর্য দেখে সত্যিই আমার ভাল লাগছে।
গল্পটা শেয়ার করবেন?
আতঙ্কবাদীদের পরিবারকে উত্সর্গ করেছি ছবিটা। তাঁদের সমঝোতা, তাঁদের বেঁচে থাকার লড়াইকে দেখানো হবে এই গল্পে। দেখুন, কেউ জন্মেই আতঙ্কবাদী হয় না। সন্তানকে এক রকম ভাবে বড় করছেন পরিবারের সদস্যরা। তার পর সেই ছেলের টেররিস্ট হয়ে যাওয়ার পর তাঁদেরও জীবনটা কী ভাবে বদলে যায় সেটাই দেখাব।
ছবিটা থেকে আলাদা করে কী পাবেন দর্শকরা?
দেবকে। উত্তরটা তো ফিল ইন দ্য ব্ল্যাঙ্কসের মতো হল। একটু ব্যাখ্যা করুন প্লিজ। আমি নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি পশ্চিমবঙ্গের মানুষ এখনও দেবকে চেনেন না। এই ছবিতে এক নতুন দেবকে দেখবেন আপনারা।
–আনন্দবাজার পত্রিকা