প্রতিকূল আবহাওয়ার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের একটু বেশিই লড়াই করতে হয়। প্রধানমন্ত্রী যেন দক্ষিণবঙ্গের সব দুঃখ এক নিমেষে এই পদ্মা সেতু দিয়ে দূর করে দিলেন। তার এই ঋণ কোনোদিন শোধ করতে পারবো না।
আমি ২৮ জুন যুক্তরাষ্ট্র যাবো। ‘রাত জাগা ফুল’ ছবির স্ক্রিনিং আছে সেখানে। সেখান থেকে ফিরে পরিবার নিয়ে পদ্মা সেতু দেখতে যাবো।
বললেন, বরগুনা থেকে উঠে আসা দেশের অন্যতম অভিনেতা-নির্মাতা মীর সাব্বির।
তিনি বলেন, কৈশোরে সিনেমায় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত দেখে মনে হতো, যদি সেখানে যেতে পারতাম! আমি মনে করি, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যদি আমরা নাটক ও চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরতে পারি তাহলে সাধারণ মানুষ সেসব জায়গায় যেতে উদ্বুদ্ধ হবে। মূলত সেই উদ্দেশে আমার ‘রাত জাগা ফুল’ ছবির সম্পূর্ণ শুটিং বরিশালে করেছি। ছবিটিতে এসব সুন্দর লোকেশন দেখে অনেকে বিস্মিত হয়েছেন। দক্ষিণবঙ্গে এমন আরও অনেক দারুণ জায়গা আছে। সেসব স্পটে শুটিং করতে পদ্মা সেতু বড় সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।
‘রাত জাগা ফুল’ শুটিংয়ের সময় টিম নিয়ে বরিশালে যাওয়া অনেক কষ্টের ছিল। দলবল নিয়ে আরিচা দিয়ে যাওয়া-আসায় ১৪-১৫ ঘণ্টা লেগেছে শুধু বাসে। তারপর ধরুন খরচ। এছাড়া লঞ্চে ইউনিটের একাংশ গেছে। এসব বিষয় এখন একমুখী আর ছোট পরিসরে হয়ে আসবে। খুব কম খরচে আমরা বরগুনা যেতে পারবো। আগের তুলনায় যাতায়াত ব্যবস্থার খরচ ধরলে সেটি ৫০ শতাংশ কমে আসবে।
পদ্মা সেতুর সুবাদে বাংলাদেশের নাটক-চলচ্চিত্র আর ঢাকাকেন্দ্রিক থাকবে না। দুটি শিল্পেরই পরিসর আরও বড় হবে। তাতে আমরা যেমন উপকৃত হবো, তেমনি যারা আমাদের কাজ দেখেন সেই দর্শকদের মধ্যেও এটি চমৎকারভাবে ছড়িয়ে যাবে।
দক্ষিণবঙ্গের নিচু এলাকা বরগুনা জেলা। সেখান থেকে একসময় আমার বাবা-দাদারা দেড়-দুই দিনে ঢাকায় আসতেন। বরগুনার মানুষ এখন সকালে রওনা দিলে হয়তো একটা কাজ শেষ করে রাতে আবার বাড়ি ফিরতে পারবে।
প্রতিকূল আবহাওয়ার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের একটু বেশিই লড়াই করতে হয়। প্রধানমন্ত্রী যেন দক্ষিণবঙ্গের সব দুঃখ এক নিমেষে এই পদ্মা সেতু দিয়ে দূর করে দিলেন। তার এই ঋণ কোনোদিন শোধ করতে পারবো না।