আবার বিয়ে পূর্ণিমার, প্রাক্তন স্বামীর শুভ কামনা

জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা আবার বিয়ে করলেন । পাত্র আশফাকুর রহমান রবিন পেশায় বহুজাতিক একটি কম্পানির মার্কেটিং বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। পড়াশোনা করেছেন সিডনির একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েছেন।

গত ২৭ মে পূর্ণিমা ও রবিনের দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। নবদম্পতি বর্তমানে রাজধানীর একটি অভিজাত এলাকায় একই ছাদের নিচে বসবাস করছেন।

বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) রাতে বিয়ের খবরটি নিশ্চিত করেন পূর্ণিমা। তিনি বলেন, কাজের সূত্র ধরেই তার (রবিন) সঙ্গে পরিচয়। তিন বছরের পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব, সেখান থেকে পরষ্পরের মন দেয়া-নেয়া।

বিয়ের পরেই পূর্ণিমাসহ তার পরিবারের অন্যরা অসুস্থ ছিলেন। কারো কারো কভিড ছিল। সে কারণে তার বিয়ের খবর জানাতে দেরি হয়েছে বলে জানান এ নায়িকা।

পূর্ণিমা জানান, বন্ধুত্ব, বিশ্বাস আর শ্রদ্ধাবোধ সবকিছু পেয়েছেন রবিনের মধ্যে। সেখান থেকে সম্পর্ক মজবুত হয়। বলেন, পরে দুই পরিবার আমাদের মতামতকে গুরুত্ব দেয়। ২৭ মে পারিবারিকভাবে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে।

চলতি বছরের শেষ দিকে রবিন-পূর্ণিমার বিয়ের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।

এর আগে ২০০৭ সালে আহমেদ ফাহাদ জামালের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন পূর্ণিমা। সেখানে তাদের আরশিয়া উমাইজা নামের এক কন্যা সন্তান রয়েছে।

আহমেদ ফাহাদ জামালের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই আলাদা থাকছিলেন অভিনেত্রী। তবে চূড়ান্ত বিচ্ছেদ কবে হয়েছে এ বিষয়ে জানা যায়নি।

বিষয়টি নিয়ে আহমেদ ফাহাদ জামালেরও প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। কেননা পূর্ণিমার বিয়ের খবরের পর ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা ফাহাদ জামালকে ক্রমাগত ফোনকল ও মেসেজ করছিলেন, বিষয়টি আদতে কী তা জানার জন্য। আহমেদ ফাহাদ জামাল ফেসবুকে পূর্ণিমার নতুন জীবনের প্রতি শুভ কামনা জানিয়ে বলেন, ‘তার জন্য শুভ কামনা, আমার মেয়ের জন্য সব সময় দোয়া রাখবেন। ‘

একই পোস্টে অযাচিত ফোনকল ও মেসেজের কারণে বিরক্তি প্রকাশ করেন জামাল। তিনি লিখেছেন, ‘দয়া করে আমাকে ফোন করা ও মেসেজ দেওয়া বন্ধ করুন। যা হয়েছে খুবই ভালো। মানুষের জীবনেই এটা হয়। আমি জানি। ‘

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts