মো. মেহেদী হাসান: ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ফিল্ম সোসাইটি’র আয়োজনে ‘আমাদের সিনেমা’ শিরোনামে বাংলা চলচ্চিত্র ধারাবাহিকভাবে প্রদর্শনীর উদ্বোধন হয়েছে। মাত্র ৩০ টাকার টিকিটের বিনিময়ে সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত সাড়া জাগানো ৬টি সিনেমা দেখা যাবে এবারের আয়োজনে।
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ৩দিন ব্যাপী ‘আমাদের সিনেমা’ শিরোনামে বাংলা চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ এবং চারুকলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. বজলুর রশীদ খান।
অনুষ্ঠানে চারুকলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. বজলুর রশীদ খান বলেন, বর্তমান সময়েে বিভিন্ন পরাশক্তি জাগ্রত হচ্ছে, এই পরাশক্তিকে পরাহত করতে পারে সংস্কৃতি। আর এই সংস্কৃতির অংশ সিনেমা। ভালো ভালো কাজ এখন বাংলাদেশে হচ্ছে, বাংলাদেশের হারানো ঐতিহ্য আবারও ফিরে আসছে।
এসময় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে রিপ্রেজেন্ট করে এমন কোনো শর্টফিল্ম থাকলে আমরা বাইরের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে তা দেখাতে পারি, আমরা আশা করি এটি করতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন বিভাগ এগিয়ে আসবে এবং চলচ্চিত্র সংসদ কাজ করবে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, আমরা সুস্থ ধারার চলচ্চিত্র নির্মাণে ব্যর্থ হচ্ছি বলেই বর্তমানে অনেক সিনেমা হল বন্ধ হয়েছে। সুজন সখী, রূপবান এসব সিনেমা আগে মানুষ গরুর গাড়িতে করে এসেও সিনেমাহলে দেখেছে। কিন্তু এখন আর হয় না। কারণ সিনেমার পরিচালকগুলো এখন জনমানুষের মনোভাব বুঝতে পারছে না। আমাদের সুস্থ ধারার চলচ্চিত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। এজন্য ফিল্ম সোসাইটিকে এগিয়ে আসতে হবে।
উল্লেখ্য উদ্বোধন শেষে রুবাইয়াত হোসেন পরিচালিত ‘শিমু’ ও দুপুর ১ টায় মীর সাব্বিরের ‘রাত জাগা ফুল’ প্রদর্শিত হয়। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর ১০ টায় ফখরুল আরেফিন খান পরিচালিত ‘গন্ডি’ ও দুপুর ১ টায় রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিতের ‘নোনা জলের কাব্য’ এবং আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টায় হাবিবুর রহমানের ‘অলাতচক্র’ ও ১২ টায় রায়হান রাফি পরিচালিত ‘পরান’ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।
এর আগে প্রায় সপ্তাহ ব্যাপি ছয়টি চলচ্চিত্রের টিকিট বিক্রি করা হয়। শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহের সাথে টিকিট সংগ্রহ করতেও দেখা যায়। প্রতি বছর এমন আয়োজন করে শিক্ষার্থীদের প্রফুল্ল করে যাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট আয়োজনবৃন্দরা।