চাঁদপুর প্রতিনিধি: সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধির জন্য লক্ষ্মী দেবীর আরাধনা করা হয়ে থাকে। মা লক্ষ্মী হলেন ধনসম্পদের দেবী। কোজাগরী পূর্ণিমার দিন ঘরে ঘরে পূজিত হন তিনি। আশ্বিন মাসের শেষ পূর্ণিমা তিথিতে কোজাগরী লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয়।
‘কোজাগরী’ অর্থ কে জেগে আছো? হিন্দু পুরাণ মতে, আশ্বিনের এই পূর্ণিমার রাতে দেবী লক্ষ্মী এসে ঘরে ঘরে খোঁজ নিয়ে যান, কে জেগে আছে। এই রাতে যে ব্যক্তি জেগে দেবীর আরাধনা করেন তার ঘরেই প্রবেশ করেন মা লক্ষ্মী। আগামীকাল রোববার (৯ অক্টোবর) পড়েছে এবছরের কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা।
লক্ষ্মী পূজার আগাম প্রস্তুতি হিসেবে চাঁদপুর শহরের কালীবাড়ি মন্দিরে চলছে প্রতীমা ও পূজার উপকরণ বিক্রি। এখানে ২শ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১২শ টাকা দামে চলছে দেবী লক্ষ্মীর প্রতীমা বিক্রি।
শনিবার (৮ অক্টোবর) সকালে কালীবাড়ী মন্দিরে গেলে পূজোর প্রতীমা ও উপকরণ বিক্রিতে ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
ক্রেতারা জানান, উমার কৈলাশ যাত্রার পর সনাতনীরা আবারো মেতে ওঠেন লক্ষী পূজোর উৎসব ও আনন্দে। বাঙালী সনাতনী হিন্দুর ঘরে ঘরে শারদীয়ার পরে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ললক্ষ্মী পূজো করা হয়। তাই দেবী লক্ষ্মীপূজার আগাম প্রস্তুতি উপলক্ষে চাঁদপুরের বিভিন্ন উপজেলা ছাড়াও প্বার্শবর্তী কুমিল্লা জেলা থেকেও অনেকেই এই কালীমন্দিরে প্রতীমা ও পূজোর উপকরণ বিক্রি করতে এসেছেন। তবে এবার প্রতিমাসহ পূজার উপকরণের দাম কিছুটা বেশি বলে জানিয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই।
কুমিল্লার বুরিচং থেকে আগত প্রতীমা বিক্রেতা সুভাস বলেন, রংয়ের দাম বেশি। এরপর পরিবহন খরচ বেশি হওয়ায় প্রতীমাসহ পূজার উপকরণের দাম পূর্বের চেয়ে কিছুটা বেশি। তবুও বলবো সবকিছু মিলিয়ে এখনো দাম সবার সাধ্যের মধ্যে রয়েছে।
চাঁদপুর কালীবাড়ী মন্দিরের পূজা কমিটির আহ্বায়ক গোবিন্দ সাহা বলেন, এবার বৈশ্বিক পরিস্থিতির জন্য লক্ষ্মী প্রতীমাসহ পূজার উপকরণের দাম একটু বেশি। তবে দাম যাতে সবার নাগালের মধ্যে থাকে সেজন্য আমরা সবকিছু মনিটরিং করছি।