জ ই বুলবুল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ফিরে এসে: জেলা পরিষদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জামানত হারালেন ২৩ প্রার্থী, অথচ তারা আবার মাঠেও। সদ্য অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৩ প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। ১৭ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলে এই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। পরে ভোট গণনা শেষে ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
এ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ মোট ৫৮ প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন। ফলাফল অনুযায়ী এর মধ্যে ১৮ জন সাধারণ সদস্য ও পাঁচ সংরক্ষিত সদস্য প্রার্থী ভোটে তাদের জামানত হারিয়েছেন।
জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডে (নাসিরনগর) মোট ভোট পড়ে ১৭০টি। এই ওয়ার্ডে ফারুক মিয়া উটপাখি প্রতীকে দুই ভোট এবং মোহাম্মদ সাদেকুর রহমান টিউবওয়েল প্রতীকে ১৬ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। ২ নম্বর ওয়ার্ডে (সরাইল) মোট বৈধ ভোট পড়েছে ১১৮টি। এই ওয়ার্ডে উত্তম কর্মকার তালা প্রতীকে ১৩ ভোট ও মোহাম্মদ ইমরান মিয়া বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে কোনো ভোট না পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
৩ নম্বর ওয়ার্ডে (আশুগঞ্জ) ভোট পড়েছে ১০৭টি। এই ওয়ার্ডে জিল্লুর রহমান তালা প্রতীকে কোনো ভোট পাননি এবং মনিরুজ্জামান খাঁন টিউবওয়েল প্রতীকে এক ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে (সদর উপজেলা) মোট ভোট পড়েছে ১৬১টি। এরমধ্যে আজহারুর ইসলাম ক্রিকেট ব্যাট প্রতীকে তিন ভোট, শাহাদাত খান তালা প্রতীকে ১০ ভোট এবং সুধীর চন্দ্র ঘোষ টিউবওয়েল প্রতীকে এক ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
৫ নম্বর ওয়ার্ডে (বিজয়নগর) মোট বৈধ ভোট পড়েছে ১৩১টি। এরমধ্যে কাজী আশিকুর রহমান টিউবওয়েল প্রতীকে ছয় ভোট এবং তফসিরুল ইসলাম বক প্রতীকে দুই ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে (আখাউড়া) বৈধ মোট ভোট পড়েছে ৮০টি। এর মধ্যে খন্দকার মোস্তাক আহমেদ অটোরিকশা প্রতীকে এক ভোট, মোহাম্মদ আলী ভূইয়া তালা প্রতীকে এক ভোট এবং ইয়াছিন মিয়া টিউবওয়েল প্রতীকে কোনো ভোট না পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
৭ নম্বর ওয়ার্ডে (কসবা) মোট ভোট পড়েছে ১৪৩টি। এরমধ্যে আইয়ূব আলী ভূইয়া অটোরিকশা প্রতীকে এক ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে (নবীনগর) মোট ভোট পড়েছে ২৮৫টি। এরমধ্যে আতিকুর রহমান হাতি প্রতীকে দুই ভোট এবং সফিকুল ইসলাম বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে তিন ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। ৯ নম্বর ওয়ার্ডে (বাঞ্ছারামপুর) মোট বৈধ ভোট পড়েছে ১৮৩টি। এরমধ্যে নূর মোহাম্মদ মোল্লা ঘুড়ি প্রতীকে সাত ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
এদিকে, সংরক্ষিত সদস্য পদে ১ নম্বর ওয়ার্ডে (নাসিরনগর, সরাইল ও আশুগঞ্জ) ৩৯৫ ভোটের মধ্যে মাহমুদা পারভীন মাইক প্রতীকে ২১ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। সংরক্ষিত ২ নম্বর ওয়ার্ডে (সদর, বিজয়নগর ও কসবা) ৪৩৮ ভোটের মধ্যে ফেরদুছ আক্তার হরিণ প্রতীকে ৯ ভোট ও রোমানা আক্তার টেবিল ঘড়ি প্রতীকে ২০ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। সংরক্ষিত সদস্য পদে ৩ নম্বর ওয়ার্ডে (আখাউড়া, নবীনগর ও বাঞ্ছারামপুর) ৫৪৭ ভোটের মধ্যে বই প্রতীকে মাহমুদা আক্তার শিউলি ২৪ ভোট এবং মোছেনা বেগম দোয়াত কলমে ২৫ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান বলেন, অন্য সব নির্বাচনের মতোই প্রদত্ত বৈধ ভোটের আট ভাগের একভাগ যদি কোনো প্রার্থী না পান, তাহলের তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।