রিফাত আবির: প্রথমবারের মতো সরকারিভাবে সারাদেশে শিক্ষক দিবস উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে দিবসটি উদযাপনে সকল জেলা-উপজেলায় র্যালি, আলোচনা সভা সহ অন্যান্য কল্যাণমূখী কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
“শিক্ষকদের হাত ধরেই শিক্ষা ব্যবস্থার রূপান্তর ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরেও শিক্ষক দিবস উপলক্ষে আনন্দ র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রহিম এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
প্রধান অতিথি বলেন, আলোকিত সমাজ বিনির্মাণের মাধ্যমে একটি জাতি গঠনে শিক্ষকের ভূমিকা অপরিসীম। শিক্ষকরাই হলো সমাজের আলোকবর্তিকা। যাদের মাধ্যমে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম একটি সুন্দর ভবিষ্যত গড়তে পারে। সমাজে বিরাজমান নিরক্ষরতা, কুসংস্কার দূরীকরণের মধ্য দিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সমাজের কর্ণধার হিসেবে গড়ে তোলা শিক্ষকের মূল দায়িত্ব।দেশ ও জাতি গঠনে শিক্ষকদের ভুমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তাই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মাধ্যমে নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলতে শিক্ষকদের ভুমিকা অপরিসীম।
বাঞ্ছারামপুর সরকারি এসএম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতিকুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তারা এসময় বলেন, জাতি গঠনে শিক্ষক হিসেবে ভূমিকা রাখতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো শিক্ষক দিবস উদযাপনের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। এছাড়াও বক্তব্যে বক্তারা বাঞ্ছারামপুরের ভবিষ্যত প্রজন্মদের একটি সুন্দর শিক্ষা নগরী গড়ে তুলে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এসময় আরোও উপস্থিত ছিলেন, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস এটিও গাজী শাহরাজ, একাডেমি সুপারভাইজার মাসুম বিল্লাহ, শাহ রাহাত আলী কলেজ এর অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম, শাহ রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল করিম মাস্টার,বাঞ্ছারামপুর বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সিরাজুল ইসলাম, রূপসদী বৃন্দাবন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূর মোহাম্মদ জমাদ্দার, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. মাইনু উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মহরম আলী মাস্টার, বাঞ্ছারামপুর সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মীর রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।