ইফতেখার শাহীন, বরগুনা: জনবল নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতা ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ না হওয়ায় উদ্বোধনের চার বছরেও চালু হয়নি ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বরগুনার জেনারেল হাসপাতালের নতুন ভবন। এজন্য চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন জেলার প্রায় ১০ লাখ মানুষ।
জেলা চিকিৎসা বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, জনবল ও চিকিৎসা সামগ্রী চেয়ে একাধিকবার চিঠি দিয়েও কোনো সাড়া মিলছে না। বরং জনবল নিয়োগ নিয়ে অধিদপ্তর ও মন্ত্রনালয়ের টানাটানিতেই এ জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ৫০ শয্যার বরগুনা জেনারেল হাসপাতালকে ১৯৯৭ সালে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। পরে ২০১০ সালে হাসপাতালটি ২৫০ শয্যায় উন্নীত করার লক্ষে ২০১৩ সালে বরগুনা গণপূর্ত বিভাগ ৩১ কোটি ৩১ লাখ ৪৩ হাজার ৫৭৭ টাকা ব্যয়ে সাত তলা ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করে। ৩০ মাসের মধ্যে ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ করে ভবন হস্তান্তরের কথা থাকলেও ৯ বছর পরে ২০২১ সালের জুন মাসে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত অধিদপ্তর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে এই ভবন হস্তান্তর করেন। কিন্তু চিকিৎসকসহ বিভিন্ন পদে জনবল নিয়োগ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ না করায় ২৫০ শয্যার কার্যক্রম শুরু করা যাচ্ছে না।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ২৫০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসকসহ ২৫১টি বিভিন্ন পদে জনবল নিয়োগ দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু উদ্বোধনের চার বছরেও এই নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়নি। বরং নিয়োগ কারা দেবেন এ নিয়ে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে।
জানতে চাইলে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. সোহরাব উদ্দীন খান বলেন, ১০০ শয্যা বিশিষ্ট পুরাতন জীর্ণ ভবনের হাসপাতালটিতে ৪৩ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও বর্তমানে ১১ জন দিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম। লোকবল নিয়োগ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম বরাদ্দ না হওয়ায় আমরা ২৫০ শয্যার নতুন ভবনে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করতে পারছি না।