‘ইউরোপের কাউকে নৈতিক শিক্ষা দেয়া উচিৎ নয়। নিজে একজন ইউরোপীয় হয়েও বলছি। আমি মনে করি আমরা ইউরোপীয়রা বিশ্বজুড়ে গত ৩ হাজার বছরে যা করে আসছি, তার জন্য আমাদের পরবর্তী ৩ হাজার বছরের জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত। এই নৈতিক শিক্ষা দেয়া একতরফা। এটি আসলে ভণ্ডামি।’
মধ্যপ্রাচের দেশ কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজনের সমালোচনার বিপরীতে জবাবটা সংবাদে সম্মেলনে কড়াভাবেই দিলেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো।
এক সময় ইউরোপের দেশগুলো বিশ্বের নানা দেশ দখল করে উপনিবেশিক শাসন ব্যবস্থা কায়েম করে বাড়িয়েছিল সাম্রাজ্য আর ক্ষমতা। দখলকৃত রাষ্ট্র ঠেলে লুটপাট করে নিজের দেশের উন্নয়নে তা ব্যয় করেছিল। দাস প্রথাকে করেছিল প্রতিষ্ঠিত। অভিবাসীদের সঙ্গে কোনো কোনো দেশের আচরণ আধুনিক যুগে এসেও অমানবিক। এখনো থেমে যায়নি বর্ণবাদের কালো থাবা।
ইউরোপীয় দেশগুলোকে তাদের অতীত স্মরণ করিয়ে দিতেই যেন যেন ইনফান্তিনো এসব কথাই বললেন। তিনি সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে নিজে সুইস অভিবাসী শ্রমিকদের সন্তান বলে জানান।
স্টেডিয়াম নির্মাণে নিয়োজিত শ্রমিকদের নিপীড়ন,মানবাধিকার লঙ্ঘনের ফলে ব্যাপক সমালোচিত কাতার। বিষয়টি নিয়ে ফিফা সভাপতি জানান, দেশটিতে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার অফিস স্থাপনের জন্য আলোচনা চলছে।
‘কাতার সরকার এবং আইএলও (আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা) মহাপরিচালকের সাথে আলোচনা করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। অফিসটির সদর দপ্তর হবে দোহায়।’