তারেকুর রহমান: আকাশী-সাদার বিভিন্ন পতাকা হাতে আর্জেন্টিনার সমর্থকরা একে একে জড়ো হয়েছেন কক্সবাজারের মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে। পতাকা বিভিন্ন আকারের, সমর্থকও বিভিন্ন বয়সের। ৬ বছরের শিশু থেকে শুরু করে ৮৬ বিশ্বকাপের সাক্ষী বয়োজ্যেষ্ঠরাও বাদ যাননি। সূর্য পশ্চিমাকাশে হেলে পড়ার সাথে সাথে মেসি মেসি শব্দে গর্জে ওঠেন ৫ হাজারেরও বেশি সমর্থক।
বিশ্বকাপ ফুটবলের চলতি উন্মাদনায় এভাবেই নিজেদের প্রিয় দলকে সমর্থন জানালেন কক্সবাজারের আর্জেন্টিনার সমর্থকরা।
সোমবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে কক্সবাজারের মুক্তিযোদ্ধা চত্বর থেকে আর্জেন্টিনার বিভিন্ন খেলোয়াড়ের ছবি সম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে র্যালি বের করে সুগন্ধা পয়েন্ট হয়ে সমুদ্রের বালিয়াড়িতে মিলিত হন সমর্থকরা। এর আগে আয়োজকরা নিজেদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন।
আয়োজক ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেন, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র শহর কক্সবাজার থেকে বিশাল র্যালি করে জানিয়ে দিতে চাই কক্সবাজারে বিরাট একটি অংশ আর্জেন্টিনার সমর্থক।
সমর্থক আহসান সুমন বলেন, ছোটবেলা থেকে আর্জেন্টিনাকে মনেপ্রাণে সাপোর্ট করি। আজ কক্সবাজারে মিলনমেলা হবে জেনে ছুটে এসেছি। একসাথে পছন্দের টিমের অনেক সমর্থককে দেখে সত্যিই ভালো লাগছে।
টেকনাফ থেকে আসা সমর্থক তারেক মাহমুদ রণি বলেন, ৭০ কিলোমিটার দূর থেকে প্রিয় টিমকে সমর্থন দিতে কক্সবাজার শহরে এসেছি। আমার সাথে কয়েক গাড়ি সমর্থকও এসেছে টেকনাফ থেকে। আর্জেন্টাইন সমর্থকরা এখানে মিলিত হয়ে অনেক বেশি ভালো লাগছে।
এদিকে ১২৫০ ফুট দৈর্য্যের বিশাল পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন ও বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে মেতে ওঠেন শিশু-কিশোর ও যুবকসহ নানা বয়স ও শ্রেণিপেশার মানুষ। এবারই প্রথম এতো সংখ্যক আর্জেন্টিনার সমর্থকরা আনন্দ র্যালি করে তাক লাগিয়েছেন বলে জানা যায়।
আয়োজকদের মধ্যে ছিলেন, আবু বক্কর ছিদ্দিক খোকন, জামশেদ, ইমজামামুল হক, এহসান কুতুবী প্রমুখ।