তারিকুল ইসলাম: ইচ্ছে থাকলে বয়স কোনো বাধা নয় প্রমাণ করলেন শেরপুরের ৬৭ বছর বয়সী আবুল কালাম আজাদ। তিনি এবারের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ২.৯৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
আবুল কালাম আজাদ শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার খড়িয়াকাজীরচর গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদ মন্ডলের ছেলে। তিনি তিন ছেলের বাবা। বড় ছেলে কলেজ শিক্ষক। মেজো ছেলে কামিল পাস। ছোট ছেলে প্রকৌশলী। বাবা এবার পাশ করলেন এসএসসি।
তবে, এসএসসি পাস না করেও তিনি লিখেছেন অসংখ্য কবিতা, ছড়া, উপন্যাস ও গান। এবার কিশোর বয়সের ছেলে-মেয়েদের সাথে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে আলোচনায় এসেছেন তিনি।
আবুল কালাম আজাদ জানান, তার বয়স প্রায় ৬৭ বছর। তার ছেলেরা শিক্ষার আলোয় আলোকিত হয়েছে, তিনি কেনো পিছিয়ে থাকবেন।
তিনি বলেন, ছোট থেকেই আমি কবিতা, ছড়া, গান ও উপন্যাস লিখি। ইতোমধ্যে আমার লেখা ‘দেহদাহ’ ও ‘দেশরত্ন’ নামে দুটি কবিতার বই প্রকাশ হয়েছে। এতেও আমি প্রশংসিত হয়েছি।
তিনি বলেন, আমি বঙ্গবন্ধু ও তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কবিতার বই লিখেছি। দেশের উন্নয়ন নিয়ে আমার লেখা আরেকটি বই ছাপাখানায় দিয়েছি। আমি চাই, আমার একটা বই যেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেখেন।’
তিনি উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করবেন বলেও জানান।
তার মেজো ছেলে আরিফুল ইসলাম বলেন, আমি কামিল পাস করেছি। আমার বড় ভাই কলেজ শিক্ষক। আমার ছোট ভাই ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেছে। আমাদের পরিবারের প্রায় সবাই শিক্ষিত। বাবাও অনেক দিন থেকে বলছেন এসএসসি পরীক্ষা দেবেন। তাই আমরা তাকে সহযোগিতা করছি।
তিনি আরো বলেন, বাবা যেসব গান, কবিতা, ছড়া ও উপন্যাস লিখেছেন তা পড়ে আমরাও মুগ্ধ।
এ ব্যাপারে শেরপুর জেলা শিক্ষা অফিসার মো. রেজুয়ান বলেন, আবুল কালাম আজাদ নিজের ইচ্ছা শক্তি দিয়ে প্রমাণ করেছেন শিক্ষার কোন বয়স নাই। এই ঘটনা অন্যদের জন্য অনুকরণীয়। তার কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে অনেকে বয়সের বাধা ডিঙিয়ে শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী হবে।