ডিম যখন সিদ্ধ করা হয় তখন হাইড্রোজেন সালফাইড উৎপন্ন হয়। ডিমের সাদা অংশে যে প্রোটিন থাকে, পানিতে থাকা হাইড্রোজেনের সঙ্গে মিশে এই গ্যাস তৈরি করে। ডিমের বাইরের অংশ যত গরম হতে থাকে, এই গ্যাস ততই ডিমের ভেতরের চলে যায় এবং একসময় ফেটে যায়। তাই ডিম সিদ্ধ করার পরেই ঠাণ্ডা পানিতে ডুবিয়ে রাখলে ভালো।
ডিম সিদ্ধ করার সময় বড় পাত্রে সিদ্ধ করুন। যাতে একটা ডিমের সঙ্গে অন্য ডিমের ধাক্কা না লাগে। ডিম সিদ্ধ করার সময় পানিতে অল্প লবণ দিয়ে নিন। মাঝে মাঝে একটু নেড়ে দিন। গরম পানি থেকে তুলে ঠাণ্ডা পানিতে ডিমগুলো কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। এরপর ডিমের খোসা ছাড়ালেই দেখবেন সহজেই খোসা থেকে আলাদা হয়ে যাচ্ছে।
ডিম ফ্রিজ থেকে বের করে সিদ্ধ করার আগে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় নিয়ে আসুন। ফ্রিজ থেকে বের করে সরাসরি সিদ্ধ করতে যাবেন না। অনেক ডিম একসঙ্গে সিদ্ধ করবেন না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিম সবচেয়ে পুষ্টিকর। ডিমে উচ্চ মাত্রায় প্রোটিন, ভিটামিন বি১২, ভিটামিন ডি, অ্যান্টি- অক্সিডেন্ট আছে, যা শরীরকে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এ ছাড়া ডিম পুষ্টি উপাদানে ভরপুর একটি প্রাকৃতিক খাবার। তাইতো এটিকে প্রোটিন এবং পুষ্টি উপাদানের পাওয়ার হাউসও বলা হয়।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া