দেশ জিতলেও হেরেছেন তার প্রিয় ফুটবলার। ম্যাচের পর সুযোগ পেয়েই নেইমারকে সান্ত্বনা জানাতে চলে যায় লিয়োনার্দো। নিরাপত্তাকর্মীরা পেরিসিচের ছেলেকে আটকে দিলেও কাছে ডেকে নেন নেইমার।
শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে ক্রোয়েশিয়ার কাছে টাইব্রেকারে হেরে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর মাঠেই ভেঙে পড়েন নেইমার। তখন তিনি শিশুর মতো কাঁদছিলেন। সতীর্থরা সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন তাঁকে। সে সময়ই দৌড়তে দৌড়তে তাঁর দিকে এগিয়ে যায় দু’টি শিশু। গায়ে তাদের ক্রোয়েশিয়ার জার্সি।
মাঠের মাঝখানে দানি আলভেজ়ের কাঁধে মাথা রেখে তখন কাঁদছিলেন নেইমার। স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণায় বিদ্ধ সতীর্থকে শান্ত করার চেষ্টা করছিলেন আলভেজ়। তাঁদের কাছেই দাঁড়িয়েছিলেন ব্রাজিল দলের দুই নিরাপত্তাকর্মী। শিশু দু’টিকে নেমারের দিকে এগিয়ে যেতে দেখে তাদের আটকান নিরাপত্তাকর্মীরা। মেয়েটি একটু দূরে দাঁড়িয়ে গেলেও, ছেলেটি সাহস করে আরও একটু কাছে চলে যায়। খানিকটা দূর থেকেই ডাকে নেইমারকে। তার ডাকে সাড়া দিয়ে এগিয়ে আসেন নেইমার। নিরাপত্তাকর্মীদের বাধা দিতে বারণ করেন।
ছেলেটি আসলে পরাজিত নায়ককে সান্ত্বনা দিতে গিয়েছিল। সে ক্রোয়েশিয়ার হলেও, তার প্রিয় ফুটবলার নেইমার। তাই পরাজয়ের পর দেশের ব্যবধান মুছে সে পৌঁছে গিয়েছিল নেইমারের কাছে। নেইমারও তাকে বুকে জড়িয়ে নেন। কপালে চুম্বন করেন। কড়া নিরাপত্তার এড়িয়ে ছেলেটি কী ভাবে পৌঁছে গেল নেইমারের কাছে? এই প্রশ্ন উঠতেই পারে।