বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে লিয়োনেল মেসির আর্জেন্টিনা। শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়েছেন মেসিরা। ১২০ মিনিটে খেলার ফয়সালা হয়নি। শেষে টাইব্রেকারে জিতে সেমিফাইনালে গেলেন মেসিরা।
আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডস ম্যাচে নাটকের পর নাটক। প্রথমে আর্জেন্টিনা এগোল ২ গোলে। দেখে মনে হচ্ছিল, বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে গিয়েছেন লিয়োনেল মেসিরা। কিন্তু শেষ দিকে ২ গোল শোধ করল নেদারল্যান্ডস। খেলা গড়াল অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও হল না গোল। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে হল ম্যাচের ফয়সালা। নেদারল্যান্ডসকে ৪-৩ ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনালে গেলেন মেসিরা।
তাঁকে রোখার অনেক চেষ্টা করেছিলেন নেদারল্যান্ডসের কোচ লুই ফান হাল। তাঁর জন্য জোনাল মার্কিং রেখেছিলেন। মেসি বল ধরলেই ছেঁকে ধরছিলেন তিন থেকে চার জন কমলা জার্সি পরা ফুটবলাররা। কিন্তু তাঁকে আটকাতে পারলেন না ফান হাল। জোনাল মার্কিং ভেঙে বেরিয়ে গোল করালেন। আবার পেনাল্টি থেকে গোল করলেন।
খেলার শুরু থেকে দু’দলই রক্ষণ মজবুত রেখে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করছিল। ছোট ছোট পাস খেলছিল দু’দল। নেদারল্যান্ডস দু’প্রান্ত ব্যবহার করে আক্রমণে উঠছিল। প্রথম ২০ মিনিটে দু’বার আর্জেন্টিনার বক্সে ঢুকে পড়েন মেম্ফিস দেপাই, কোডি গাকপোরা। কিন্তু খুব একটা সমস্যায় পড়তে হয়নি এমিলিয়ানো মার্তিনেসকে। অন্য দিকে থ্রু বলে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করছিল আর্জেন্টিনা। মেসির পায়ে বল পড়লেই অন্তত তিন জন মিলে তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করছিলেন। তার মধ্যেই এক বার ছিটকে বেরিয়ে দূর থেকে শট মারেন মেসি। কিন্তু গোল উঁচিয়ে সেই বল বেরিয়ে যায়।
দু’দলেরই খেলা তৈরি হচ্ছিল নিজেদের রক্ষণ থেকে। নিজেদের মধ্যে ছোট ছোট পাসে বলের নিয়ন্ত্রণ রাখার চেষ্টা করছিলেন ফুটবলাররা। তার পরে আক্রমণে উঠছিলেন। কিন্তু প্রতিপক্ষের রক্ষণ জমাট থাকায় গোলের সুযোগ তৈরি হচ্ছিল না। মাঝে মধ্যে খেলার গতি খুব মন্থর হয়ে যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত মেসির জাদুতে ৩৪ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। প্রায় ৩০ গজ দূরে বল ধরেন মেসি। ঘাড়ের কাছে চার জন ডিফেন্ডারকে নিয়ে সামনের দিকে এগোন। তার পর কোনাকুনি বল বাড়ান বক্সে থাকা মোলিনার দিকে। বল ধরে আগুয়ান গোলরক্ষকের ডান দিক থেকে বল জালে জড়িয়ে দেন মোলিনা।
প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনা আরও দু’বার নেদারল্যান্ডসের গোলের কাছে পৌঁছে যায়। মেসির ডান পায়ের শট গোলরক্ষক আটকে দেন। অন্য দিকে প্রথমার্ধের শেষ দিকে তিনটি ফ্রিকিক পায় নেদারল্যান্ডস। কিন্তু সেখান থেকে ফসল তুলতে পারেনি তারা। ফলে প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে সাজঘরে যায় আর্জেন্টিনা।