বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের বিদায় যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০০২ সালে শেষ বিশ্বকাপ জেতার পর থেকে এই নিয়ে মোট চার বার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে বিদায় নিল ব্রাজিল। প্রতি বারই ইউরোপের কোনও দলের কাছে হেরেছে তারা। কেন বার বার কোয়ার্টারে এসে থেমে যাচ্ছে ব্রাজিলের জয়রথ? উত্তর দিতে পারছেন না কেউই।
২০০২ প্রথম বার এশিয়ায় হয় বিশ্বকাপ। সেই বিশ্বকাপে ফাইনালে জার্মানিকে হারিয়ে ট্রফি জিতেছিল ব্রাজিল। ২০০৬ বিশ্বকাপে গ্রুপের তিনটি ম্যাচ এবং প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে অনায়াসে জেতে তারা। কোয়ার্টার ফাইনালে সামনে পড়েছিল ফ্রান্স। অনেকেই ভেবেছিলেন, ১৯৯৮-এর ফাইনালে হারের জ্বালা মেটাবে সেলেকাওরা। তা তো হয়ইনি। উল্টে থিয়েরি অঁরির একমাত্র গোলে হেরে যায় তারা।
চার বছর পরেও ট্রফির দাবিদার হিসাবে বিশ্বকাপে খেলতে নেমেছিল ব্রাজিল। সে বার গ্রুপের প্রথম দু’টি ম্যাচে জেতার পর পর্তুগালের বিরুদ্ধে আটকে যায় তারা। প্রি-কোয়ার্টারে অনায়াসে হারায় চিলিকে। কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে যায় নেদারল্যান্ডসের কাছে। ১০ মিনিটে গোল করে ব্রাজিলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন রবিনহো। দ্বিতীয়ার্ধে ওয়েসলি স্নাইডারের জোড়া গোল হারিয়ে দেয় ব্রাজিলকে।
২০১৪ সালে দেশের মাঠে ট্রফির অন্যতম সেরা দাবিদার হিসাবে নেমেছিল ব্রাজিল। সাম্প্রতিক সময়ে সেই এক বারই কোয়ার্টারে তাদের বিদায় নিতে হয়নি। গ্রুপের দু’টি জয় এবং একটি ড্র করে নকআউটে ওঠে ব্রাজিল। শেষ ষোলোয় চিলিকে টাইব্রেকারে হারায়। কোয়ার্টারে হারায় কলম্বিয়াকে। সেই ম্যাচে চোট পেয়ে বিশ্বকাপ শেষ হয়ে যায় নেমারের। কিন্তু সেমিফাইনালে জার্মানির কাছে ৭-১ হারের লজ্জা এখনও কোনও ব্রাজিলীয় ভুলতে পারেননি।