চট্টগ্রাম টেস্টের ফল কী হবে, অনুমান করা গিয়েছিল আগের দিনই। পঞ্চম দিনে অপেক্ষা ছিল কেবল আনুষ্ঠানিকতার।
মাঝে সাকিব আল হাসান কিছুক্ষণ মারমুখী হলেন, হাঁকালেন বাউন্ডারি। সকালটা নিজের করে নিলেন এই অলরাউন্ডার। নিয়তি শেষ অবধি বাংলাদেশের জন্য থাকলো হারই।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে ভারতের কাছে ১৮৮ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪০৪ রানে অলআউট হয় সফরকারীরা। এরপর নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৫০ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। ২ উইকেটে ২৫৮ রান করে ভারতের ইনিংস ঘোষণার পর বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে করে ৩২৪ রান।
৬ উইকেট হারিয়ে ২৭২ রান নিয়ে রোববার (১৮ ডিসেম্বর) পঞ্চম দিন শুরু করে বাংলাদেশ। তৃতীয় ওভারেই সিরাজের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট অঞ্চলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরত যান তিনি। ৪৮ বলে ১৩ রান করেন মিরাজ।
সকালটা আদতে মাতিয়ে রেখেছিলেন সাকিব আল হাসান। একের পর এক বাউন্ডারিতে ভারতীয় বোলারদের নাজেহাল করে ছাড়ছিলেন তিনি। হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়েও ছুটেছেন বেশ অনেকটা দূর। ৬ চার ও সমান সংখ্যক ছক্কা ছিল সাকিবের ইনিংসে। কুলদ্বীপ যাদবের বলে বোল্ড হয়েই সাজঘরে ফেরত যান তিনি। ১০৮ বলে সাকিব করেন ৮৪ রান।
তার বিদায়ের পর বাংলাদেশের অলআউট হওয়া ছিল কেবলই সময়ের ব্যাপার। সাকিব আউট হওয়ার পর কেবল ৪ রান যোগ করতে পারেন তাইজুল ইসলাম, এবাদত হোসেন ও খালেদ আহমেদ। ভারতের পক্ষে ২০ ওভারে ৩ মেডেনসহ ৭৩ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন কুলদ্বীপ। ৩২ ওভার ২ বল হাত ঘুরিয়ে ১০ মেডেনসহ ৭৭ রান দিয়ে চার উইকেট নেন অক্ষর প্যাটেল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
ভারত প্রথম ইনিংস : ৪০৪/১০ (চেতেশ্বর পূজারা ২০৩ বলে ৯০ রান, শ্রেয়াস আয়ার ১৯২ বলে ৮৬; তাইজুল ইসলাম ৪৬-১০-১৩৩-৪, মেহেদী হাসান মিরাজ ৩১.৫-৬-১১২-৪)
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস : ১৫০/১০ (মুশফিকুর রহিম ৫৮ বলে ২৮, মেহেদী হাসান মিরাজ ৮২ বলে ২৫; কুলদ্বীপ যাদব ১৬-৬-৪০-৫, ১৩-২-২০-৩)
ভারত দ্বিতীয় ইনিংস : ২৫৮/২ ইনিংস ঘোষণা (শুভমন গিল ১৫২ বলে ১১০, চেতেশ্বর পূজারা ১৩০ বলে ১০২; মেহেদী হাসান মিরাজ ১৪-১-৮২-১, খালেদ আহমেদ ১৩-০-৫১-১)
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস : লক্ষ্য ৫১৩, বাংলাদেশ ৩২৪/১০ (জাকির হাসান ২২৪ বলে ১০০, সাকিব আল হাসান ১০৮ বলে ৮৪; অক্ষর প্যাটেল ৩২.২-১০-৭৭-৪, কুলদ্বীপ যাদব ২০-৩-৭-৩)