দিনটির অপেক্ষায় ছিলেন আর্জেন্টিনার জনগণ। ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপের শিরোপা পাওয়ার পর আনন্দের বাঁধ ভেঙ্গে যাবে তা অনুমেয়ই ছিল। প্রায় ৪০ লাখ মানুষ নেমেছিলেন রাজধানী বুয়েনস এইরেসের রাস্তায়। এর মধ্যে ওবেলিস্কের আশপাশেই জড়ো হয়েছিলেন ৩০ লাখ।
জনস্রোতের কারণে মেসিদের বাস এগোতেই পারছিল না। তাই বাধ্য হয়ে সেখান থেকে হেলিকপ্টার যোগে খেলোয়াড়দের সরিয়ে নেওয়া হলো।
ছাদ খোলা বাসের উপর বিভিন্ন জায়গা থেকে লাফিয়ে পড়ার চেষ্টা করছিলেন অনেকেই। বাসে ওঠার চেষ্টা করতে থাকেন অনেক সমর্থক। বাস এগোনোর কোনো উপায়ই ছিল না। খেলোয়াড় এবং সমর্থক উভয়ের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে হেলিকপ্টার যোগে দলের সবাইকে সরিয়ে নেওয়া হয়। হেলিকপ্টার থেকেই জনগণের উল্লাস দেখেন তারা, ধীরে ধীরে উৎসবের স্থান থেকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয় মেসিদের।
বাস থেকে সরাসরি হেলিকপ্টারে উঠে ওবেলিস্কের উদ্দেশে রওনা দেন মেসিরা। রাস্তায় জড়ো হওয়া সমর্থকরা এতে খেপে যান। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় তাঁদের। এর আগে, আর্জেন্টিনা ফুটবল সংস্থার প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়ো তাপিয়া টুইট করে লেখেন, ‘ওবেলিস্কে গিয়ে অভিবাদন জানানো হয়তো সবার জন্য সম্ভব হবে না। নিরাপত্তারক্ষীরা আমাদের এগোতে দিচ্ছেন না। সমস্ত ফুটবলারের প্রতিনিধি হিসাবে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। ’