মিরপুর স্টেডিয়ামে কাল থেকে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ভারতকে সিরিজ হারিয়েছে, সেখানেই বুধবার (২২ ডিসেম্বর) থেকে শুরু দ্বিতীয় টেস্ট। চট্টগ্রাম টেস্টের ব্যর্থতা ভোলার মিশন।

মিরপুরে ভালো কিছু করার স্বপ্ন থাকলেও ইনজুরি জর্জরিত টেস্টের বোলিং লাইনআপ। শরিফুল ইসলাম ও এবাদত হোসেনের মতো দুই পেসারকে স্কোয়াড থেকে ছিটকে যেতে হয়েছে চোটের কারণে। তাসকিন চোটমুক্ত হলেও বোলিং ফিটনেস দেখা বাকি। শেষ পর্যন্ত তাঁকে না পেলে খালেদ আহমদের জুটিতে সঙ্গী হবেন রেজাউর রহমান রাজ। অথচ মিরপুরে কন্ডিশনের সুবিধা কাজে লাগাতে সেরা পেস ইউনিট পাওয়া গেলে ভালো হতো অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের জন্য। বোলারদের চোট সে সুযোগ কেড়ে নেওয়ায় স্পিনারদের ওপরই নির্ভর করতে হবে বেশি।

তবে ভালো দিক হলো খেলার জন্য মরিয়া তাসকিন। গতকাল মঙ্গলবার মিরপুরে ইনডোরের পাশের নেটে পুরো রানআপে বোলিং করেছেন তিনি। অনুশীলনের প্রথম স্পেলে জড়তা ছিল না তাঁর। অ্যালান ডোনাল্ডের কাছে কোনো কমপ্লেন করেননি তাসকিনও। এই পেস বোলিং কোচের মতামতের ওপরই নির্ভর করবে তাসকিনকে একাদশে রাখা না রাখা।

সে যাই হোক, মিরপুরে দু’জনের বেশি পেসার খেলাবেনও না সাকিব। তাঁর বাজির ঘোড়া হবেন স্পিনাররাই। এ কারণেই নাসুম আহমেদকে ঢাকা টেস্টের দলে নেওয়া। সিরিজ নির্ধারণী দ্বিতীয় টেস্টে সাকিব বোলিং নাও করতে পারেন। বুকে ও কাঁধে ব্যথা থাকায় বোলিং করতে সমস্যা হচ্ছে তাঁর। চট্টগ্রাম টেস্টে খুব বেশি ওভার করেনওনি। সাকিব বোলিং না করলে তাইজুল ইসলামের সঙ্গে টেস্ট অভিষেক হয়ে যেতে পারে নাসুমের। মেহেদী হাসান মিরাজ তো রয়েছেনই। তিন স্পিনারের সঙ্গে দুই পেসার নিয়ে পাঁচজনের বোলিং ইউনিট। বাকি ছয়জন ব্যাটার। তবে মিরপুরে এক পেসার নিয়ে খেললেও অবাক হওয়ার কিছু নেই।

চট্টগ্রাম টেস্টে বোলিং মোটামুটি হলেও ব্যাটিং ভালো করেনি বাংলাদেশ। উইকেট বিসর্জনের পুরোনো রোগ সহসা সারবে বলেও মনে হয় না। দেশের সেরা ব্যাটার লিটন কুমার দাস রান পাননি। ইয়াসির আলি রাব্বি দুই ইনিংসেই ব্যর্থ। দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার সাকিব ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকেও রান আসেনি। তাই বড় ব্যবধানেই বাংলাদেশ হারে চট্টগ্রামে। সিরিজ বোধনেই যারা গোলমেলে, সমাপনে বাজিমাত করবে- সে ভরসা কোথায়? বরং বছরের শেষটা ভালোভাবে পার করা গেলেই স্বস্তি।

Print Friendly

Related Posts