রাজধানী বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের ৪৩ সদস্যকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-২।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) র্যাব-২-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি মো. ফজলুল হক গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বুধবার (২২ মার্চ) র্যাব-২ জানতে পারে সংঘবদ্ধ কিশোর গ্যাং রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্রসহ প্রস্তুতি নিচ্ছে। পরে র্যাব-২-এর একটি আভিযানিক দল রাজধানীর মোহাম্মদপুর, হাজারীবাগ, শেরেবাংলা নগর ও তেজগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছিনতাইয়ের প্রস্তুতিকালে কিশোর গ্যাংয়ের ৪৩ সদস্যকে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত ছুরি, চাকু, খুর ও অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়।
মো. ফজলুল হক বলেন, সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই ও চাঁদাবাজির ঘটনা বেড়েছে। এ বিষয়ে থানায় একাধিক জিডি ও মামলা রুজু হয়। সাধারণ মানুষ ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে সর্বস্ব হারাচ্ছে। এতে মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এ ছাড়া পথচারীদের আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে আশপাশের কেউ বুঝে ওঠার আগেই অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোর করে মানিব্যাগ, টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ও ল্যাপটপ ছিনতাই করে দ্রুত পালিয়ে যায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা।
র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, রাজধানীবাসী বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। নারী, পুরুষ ও স্কুলগামী শিক্ষার্থী নির্বিশেষে সবাইকে তিক্ত অভিজ্ঞতায় পড়তে হচ্ছে। এরই পরিপেক্ষিতে র্যাব-২ এই চক্রের ওপর গোয়েন্দা নজরধারি বাড়ায়।
তিনি বলেন, গ্রেফতার ব্যক্তিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে তারা কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। রাজধানীর বিভিন্ন জনবিরল এমনকি জনসমাগমপূর্ণ স্থানেও পথচারীদের একা পেয়ে আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে আশপাশের কেউ বুঝে ওঠার আগেই অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোর করে মানিব্যাগ, টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ও ল্যাপটপ ছিনতাই করে দ্রুত পালিয়ে যায়।
ছিনতাই ও ডাকাতি ছাড়াও তারা মাদক সেবন, খুচরা মাদকের কারবার, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং, পাড়া-মহল্লায় মারামারি ও স্থানীয় ভূমিদস্যুদের পক্ষে দখলি জমিতে গিয়ে পেশিশক্তির মহড়া প্রদর্শনসহ নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত।
এ ছাড়া চক্রের সদস্যরা নিজেদের গ্রুপের আধিপত্য বজায় রাখতে অন্য গ্যাংয়ের সঙ্গে মারামারিসহ বিভিন্ন সশস্ত্র সংঘর্ষেও জড়িয়ে পড়ে। তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
গ্রেফতার কিশোরদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে পরবর্তী সময়েও র্যাব-২ এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে। আটক কিশোরদের সংশ্লিষ্ট থানা সোপর্দ করা হবে বলেও জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা।