মোকাম্মেল হক মিলন : ভোলা জে সিভিল সার্জন ডা. কে এম শফিকুজ্জামান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করতে আহ্বান জানান।
তিনি আড়াইশ’ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনসহ সেবা প্রদান করার জন্য আহ্বান জানান এবং সবাই ভাল ব্যবহার করা ও চিকিৎসা পরামর্শ দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
এছাড়াও তিনি নারী বান্ধব হাসপাতাল হিসেবে স্বীকৃতি পেতে হলে অবশ্যই করণীয় বিষয় সমূহ তুলে ধরেন। নারী বান্ধব সেবা চালু করার গুরুত্ব দিতে আহ্বান জানান।
২ মে দুপুর ১২ টায় ভোলা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের চতুর্থ তলায় হল রুমে হাসপাতাল কতৃপক্ষ এবং ইউনিসেফ এর যৌথ আয়োজনে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ভোলা সিভিল সার্জন ডা. কে এম শফিকুজ্জামান, বিশেষ অতিথি ছিলেন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ভোলা উপ-পরিচালক তাপস কুমার শীল।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনিসেফ এর প্রতিনিধি ডা. বেনজির সুলতানা।
তিনি উল্লেখ করেন, হাসপাতলে সেবা নিতে আসা নারী রোগীদের অনেক সময় ইভটিজিংসহ বিভিন্ন ধরনের হয়রানী হতে হয় । বাংলাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বয়সন্ধিকালে মেয়েরা যাতে সাচ্ছন্ধ্যভাবে বলতে পারে ও সেবা নিতে পারে এবং গাইনি রোগীরাও কোনরকম বঞ্চিত না হয় সে বিষয়েও গুরুত্ব দিতে হবে। এটি বর্তমানে ভোলা সদর হাসপাতালে নেই তাই দ্রুত নারী বান্ধব কর্নার চালু করার জন্য অনুরোধ জানান।
উক্ত অনুষ্ঠানে ডাক্তার, নার্স, সমাজসেবা বিভাগের কর্মকর্তা, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তা ও পৌরসভা কর্মকর্তা এবং গনপুর্ত বিভাগের প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন ধরনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগন উপস্থিত ছিলেন।পৌরসভার কর্মকর্তা স্যানেটারী ইনস্পেক্টর মোঃ ফারুক জানান, হাসপাতালের বর্জ্য অনেক সময় পৌরসভার পরিছন্ন কর্মীরা আনতে গেলে সমস্যায় পড়ে। কর্মীরা আহত হওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, বিশেষ করে ইনজেকশন এর সিরিঞ্জগুলো আলাদা পাত্রে রাখার অনুরোধ জানান এবং প্রতিদিন বর্জ্য নেওয়ার চেষ্টা করবেন।
গনপুর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ ইব্রাহিম হোসেন জানান, লিপট সমস্যাসহ হাসপাতালের জন্য বর্জ্য রাখার জন্য আলাদা পাত্র তৈরি করে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করবেন বলে জানান । তবে তিনি ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে প্রতিবন্ধি সহ বিভিন্ন রোগীদের উঠানোর জন্য উপরের তলায় কোন র্যাম না থাকায় সমস্যা সমাধানে উর্ধতন কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।