রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিসান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার সাত বছর আজ। ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে হলি আর্টিসানে ভয়াবহ ওই জঙ্গি হামলায় ১৭ বিদেশিসহ ২০ জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে দুজন পুলিশ কর্মকর্তা। এ ছাড়া জঙ্গিদের ছোঁড়া গুলি ও বোমায় পুলিশের অনেক সদস্য আহত হন।
বাংলাদেশের ইতিহাসে গুলশানের হলি আর্টিসান বেকারিতে হামলাকে জঙ্গিদের চালানো অন্যতম বড় আঘাত বলে বিবেচনা করা হয়। ২০১৬ সালের ১ জুলাই চালানো ওই হামলায় বিশ্বব্যাপী চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছিল।
ঘটনার দিন ৫ জঙ্গি আগ্নেয়াস্ত্র, চাপাতি ও গ্রেনেড নিয়ে গুলশানের কূটনৈতিক এলাকায় অবস্থিত হলি আর্টিসান রেস্তোরাঁয় ঢুকে পড়ে এবং সেখানে থাকা লোকজনকে জিম্মি করে। কয়েকবার প্রস্তুতি নেওয়া সত্ত্বেও স্পর্শকাতর বিবেচনায় হলি আর্টিসানে অভিযান থেকে বিরত থাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
পরদিন সকালে সেনাবাহিনী পরিচালিত ‘অপারেশন থান্ডারবোল্টে’ জিম্মিদশার অবসান হয়। সেনা অভিযানে হামলাকারী ৫ জঙ্গি নিহত হয়। অভিযানে নিহত জঙ্গিরা হলেন- রোহান ইমতিয়াজ, সামিউল মোবাশ্বির, নিবরাস ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ও খায়রুল ইসলাম।
এদিকে হলি আর্টিসানে হামলার দায় স্বীকার করে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) বিবৃতি দেয়। এ ছাড়া হামলাকারী পাঁচজনকে তাদের ‘সৈনিক’ বলেও দাবি করে জঙ্গি সংগঠনটি। তবে সরকার আইএসের এই দাবি নাকচ করে দিয়ে জানায়, দেশীয় জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবি এই হামলার জন্য দায়ী।
প্রতিবছর ভয়াবহ এ দিনটি সামনে এলে হামলায় সরাসরি জড়িত নব্য জেএমবি ও দেশে সক্রিয় অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনের সর্বশেষ কার্যক্রমের প্রসঙ্গও আসে। সমকালের অনুসন্ধানে জানা যায়, দেশে সক্রিয় জঙ্গিরা নতুন কৌশল গ্রহণ করেছে। দৃশ্যমান কোনো অপারেশনাল কার্যক্রম না থাকলেও গোপনে তারা সংগঠনকে শক্তিশালী করতে নানা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। অনলাইনে সদস্যদের রিক্রুট করছে আনসার আল ইসলাম, জেএমবি, নব্য জেএমবি, জামায়াতুল আনসার হিন্দ আল শারক্বিয়া ও হরকাতুল জিহাদ অব বাংলাদেশ (হুজিবি)।