প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনি প্রচারণার শেষ সমাবেশ ৪ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জে

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল বলেছেন ৪ জানুয়ারি বিকেল আড়াইটায় শামসুজ্জোহা স্টেডিয়ামে জাতির পিতার কন্যা আসবেন। সারাদেশে নির্বাচনী প্রচারণার শেষ সমাবেশ ঢাকায় না করে আমাদের এখানে করবেন। প্রধানমন্ত্রী আমাদের যেভাবে মূল্যায়ন করেছেন এতে আমরা গর্ববোধ করছি।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় রাইফেল ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি।

এ সময় তিনি আরো বলেন, এই স্টেডিয়ামে ঈদের জামাতে এক লক্ষ পঁচিশ হাজার লোক নামাজ পড়তে পারে। সে হিসেবে প্রায় আড়াই লক্ষ লোক এখানে জায়গা হবে। পাশাপাশি রাস্তাও আছে। এখানে আমাদের সাধারণ সম্পাদকসহ আরও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ থাকবেন। আমি পাঁচটি নির্বাচন করেছি। ২০০১ সালেও আমি জয়ী হয়েছিলাম। সেই রেজাল্ট বদলে বিএনপিকে পাস করানো হয়। আমি কখনও হারিনি। সকল নির্বাচনের চেয়ে এবারের নির্বাচন কঠিন। ৭০ সালের নির্বাচন ছিলো দেশ স্বাধীনের নির্বাচন। এবার তারা চাইবে যে ভোটের পার্সেন্টেজ যত কমানো যায়। তবে আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলছি ফ্রি ফেয়ার ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হবে। মানুষ যেন ভয় না পায় সেটা ভাঙানোই আমাদের কাজ।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানানোর চেষ্টা হচ্ছে। একটা লোক গাছ লাগায় ফল খায়। আমরা গাছ লাগাবো, মানুষ যেন একটু কষ্ট করে ফলটা খায়। আমি আমার নির্বাচনি প্রচারণায় সবাইকেই চাই। শুধু আইভী কেন, আমাদের মাঝে কোন বিভেদ নেই।

আমার এলাকায় আর তেমন কাজ নেই। আমি স্বাধীনতার পক্ষের সকল শক্তিকে বলবো সবাই যেন এদিন আসেন। স্মরণকালের বৃহত্তর সমাবেশ হবে ইনশাআল্লাহ।

সারা দেশেই নির্বাচনের পরিস্থিতি ভালো। আমরা একটি অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছি। তারা ৭১ সালেও ছিলো। সেই রাজাকার আলবদরের সাথে আরেকটি দল যুক্ত হয়েছে। আমি ওদের সন্ত্রাসী দল বলি। তাদের সাথে আরও কিছু সুশীল আছে।

তিনি আরও বলেন, আমি এর আগে পাঁচটি নির্বাচন করেছি। এবার সবচেয়ে বেশি উৎসাহ দেখেছি। সাধারণ মহিলারাও বলে মানবাধিকারের প্রশ্ন আমার দেশে আসে, ফিলিস্তিনে আসে না। বাংলাদেশের মানুষ এখন অনেক স্মার্ট।

ব্যক্তিগত কারণে হয়তো অনেকে মাঠে নেই। জেলা ও মহানগরের সভাপতি, মেয়র আইভী হয়তো কোন কারণে নামেননি৷ তবে চার তারিখে যখন জাতির পিতার কন্যা আসবেন সেদিন সবাই আসবে। সবাই একই মঞ্চে উঠবে আশা করছি। আনোয়ার সাহেব ও আব্দুল হাই সাহেব আমার বড় ভাই। তিনি জানেন হয়তো আমাদের এলাকায় সাহায্য করার দরকার নেই। যেখানে সাহায্য দরকার তিনি সেখানে গেছেন।

সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি চন্দন শীল, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আবু হাসনাত মো শহীদ বাদল (ভিপি বাদল), মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড খোকন সাহা, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জি.এম. আরমান।

 

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts