রায়হান আহমেদ তপাদার
যেকোন দেশের গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় সরকার পরিবর্তনের সর্বোত্তম উপায় হলো সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের পছন্দমতো লোকদেরকে শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করতে পারে। উন্নত দেশগুলোতে নির্বাচনে কোনোপ্রকার কারচুপি হয় না বলে গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেছে। কিন্তু উন্নয়নশীল দেশগুলোতে নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হওয়ায় গণতন্ত্রের মৌলিক কাঠামো খুবই দুর্বল। ফলে দেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা বিদ্যমান। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদানের জন্য অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন একান্ত প্রয়োজন।
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে হবে। নির্বাচন কমিশন যদি শক্তিশালী ও দায়িত্বশীল না হয় তবে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। কেননা নির্বাচন পরিচালনার সকল দায়িত্বই নির্বাচন কমিশনের উপর ন্যস্ত। ভোটার তালিকা প্রণয়ন, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা, নির্বাচনী আচরণবিধি প্রণয়ন এবং নির্বাচনী পরিবেশ পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের উপর ন্যস্ত। সুতরাং শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন ছাড়া অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। নির্বাচন কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে সরকার ও বিরোধী দলের সম্মতিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদেরকে নিয়োগ দান করা প্রয়োজন। কিন্ত এসব নীতি উপেক্ষিত রেখেই হতে যাচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আর এতে করেই রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত হয়ে আছে।
শুধু তাই নয় দেশের সাধারণ মানুষের মনে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে, যা মোটেও কাম্য হতে পারে না। যাইহোক, নতুন বছর নতুন সম্ভাবনা নিয়ে আসার কথা। কিন্তু ২০২৪ সাল দেশের মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্তদের জন্য সম্ভাবনা নিয়ে আসবে নাকি আরও দুর্ভাবনার মধ্যে নিয়ে যাবে, তা আসলে সময়েই বলে দেবে।
তবে একদিকে নির্বাচন, অন্যদিকে জিনিস পত্রের দামের উর্ধ্বগতি, তার উপর অর্থনৈতিক সঙ্কটে দরিদ্র মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে এক ধরনের হতাশা। যেমন; আইএমএফের কিংবা রেমিট্যান্স নিয়ে আসার চাপে ডলারের রেট বাড়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে। কত হতে পারে সেই রেট? রিয়েল ইফেক্টিভ এক্সচেঞ্জ রেট বাংলাদেশ ব্যাংক ও ব্রুগেলের মধ্যে অনেক বড় পার্থক্য আছে। ব্রুগেলের ডিসেম্বরের রিপোর্ট অনুসারে এই হার ১৫৪ দশমিক ৫২, বাংলাদেশ ব্যাংকের তা ১০০ শতাংশ। যেহেতু আমরা আমদানিনির্ভর দেশ, ডলারের হার বাড়লে জিনিসপত্রের দামও বাড়বে। কিন্তু এ হার বাড়লে দেশে রেমিট্যান্স আসাও বাড়বে। মার্চ থেকে তেলের দাম ফ্লোটিং করে দেওয়া হবে, এমনটা বলা হয়েছে। এখনকার হিসাবে ফ্লোটিং করা হলে দাম বাড়ার কথা নয়, কিন্তু পশ্চিম বাংলার সঙ্গে সমন্বয় করতে গেলে দাম বাড়বে।
ওয়েবসাইট অনুসারে পশ্চিম বাংলায় ডিজেলের দাম ছিল ৯২.৭৬ রুপি, যা বাংলাদেশি টাকায় হয় ১২২ দশমিক ৫২ টাকা। বাণিজ্যিক ব্যবহারে গ্যাসের দাম বাড়ানোর পর পেট্রোবাংলা লাভে আছে, কিন্তু গতবার বাসাবাড়ির গ্যাসের দাম বাড়েনি। কিন্তু বাসাবাড়ির এলপি গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম বাড়ছে। ইতিমধ্যে তিতাস গ্যাসের দাম ৪৭ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে তিতাস। তাদের প্রস্তাব অনুযায়ী, এক চুলার ক্ষেত্রে ১ হাজার ৩৮০ ও ২ চুলার ক্ষেত্রে ১ হাজার ৫৯২ টাকা দিতে হবে ব্যবহারকারীদের। বর্তমানে এক চুলার জন্য ৯৯০ টাকা ও ২ চুলার জন্য ১ হাজার ৮০ টাকা দিতে হয় ব্যবহারকারীদের। যদি এলপি গ্যাসের সঙ্গে সমন্বয়ের চিন্তা আসে, দাম বাড়তেও পারে। বসিয়ে বসিয়ে দেওয়া ক্যাপাসিটি চার্জের জন্য বিদ্যুতে ব্যাপক ভর্তুকি দেওয়া লাগে। আইএমএফের চাপে ভর্তুকি তুলে দিলে দাম কেমন হতে পারে, এ-সংক্রান্ত কোনো প্রস্তাব নেই।
কিন্তু তথ্য মতে আমাদের ২০২২-২৩-এ উৎপাদন খরচ ছিল ১১ দশমিক ৮৬ টাকা। পানিতে ওয়াসার উৎপাদন খরচ আসে ২৫ টাকা। এখানেও সরকারের প্রস্তাব আছে, মানুষের আয়ের ওপর ভিত্তি করে হার নির্ধারণ। সেখানে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ভর্তুকির প্রস্তাব থাকলেও মধ্যম আয়ের মানুষের জন্য প্রস্তাব ৩১ দশমিক ২৫ টাকা প্রতি ১ হাজার লিটারে। এখন বিভিন্ন ধাপে যে প্রস্তাব আছে,তা সর্বোচ্চ ৫০ টাকা পর্যন্ত আছে।এই প্রস্তাবগুলো অনেক আগে থেকেই আছে, কিন্তু বাস্তবায়ন করা হয়নি। আসা করি, যদি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়, জনমত যাচাই করে যুক্তিযুক্তভাবে করা হবে, যাতে সাধারণ মানুষের ওপর চাপ কম হয়। কর বিষয়ে আইএমএফ কর জিডিপি অনুপাত বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দিয়েছে। আর বাংলাদেশ তা থেকে অনেক পিছিয়ে। দেশের অন্যতম করের খাত ছিল আমদানি। আমদানি কমে যাওয়ায় এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণের চাপ পড়বে বেসরকারি খাতের ওপর। এনবিআরের উচিত যিনি ট্যাক্স দেন, তাঁর ওপর বোঝা না চাপিয়ে কর আদায়ের আওতা বাড়ানো, তাহলে হয়তো মানুষের ওপর চাপ কম পড়বে। যদিও উচ্চ মূল্যস্ফীতি চাকরির বাজার বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু আমাদের এখানে তা না হয়ে বরং কমছে। সরকারি খাতে কিছু নিয়োগ হলেও বেসরকারি খাত ধুঁকছে। এ অবস্থা কাটানোর কোনো পথ এখনো দেখা যাচ্ছে না, যা প্রকারান্তরে নিশ্চলতা-স্ফীতিকেই নির্দেশ করে। এই নিশ্চলতা-স্ফীতিকে কাটানোর জন্য প্রথমে ব্যাংক সুদের হার মূল্যস্ফীতির ওপরে রাখতে হবে।
বিবিএসের মূল্যস্ফীতির হিসাব নিয়ে সানেম প্রশ্ন তুলেছিল ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে, যেখানে বিবিএসের থেকে প্রায় দ্বিগুণ এসেছিল তাদের হিসাবে। ভিনাগাথাসানের মতে, কোনো দেশের মূল্যস্ফীতি যদি ৫ দশমিক ৪৩ শতাংশের বেশি হয়, তা অর্থনীতির উন্নতিকে বিপরীত ধারাতে নিয়ে যায়।
আমাদের এই দীর্ঘদিনের মূল্যস্ফীতি এখন দেশকে এই নিশ্চলতা-স্ফীতিতে নিয়ে এসেছে। সংবাদ মাধ্যমের তথ্যানুযায়ী বেশির ভাগ লিস্টেড বেসরকারি কোম্পানির মুনাফা কমছে বা লসে যাচ্ছে। ফলে ছাঁটাই হওয়া বা নিয়োগ কমিয়ে দেওয়া এবং ইনক্রিমেন্ট বন্ধ করে দেওয়া অসম্ভব নয়।
বিশ্বব্যাংকের মতে, দেশের নতুন অর্থবছরে রেমিট্যান্স আসবে ২৩ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থবছরে ছিল তা ২১ বিলিয়ন ডলারের সামান্য বেশি। এবং রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ৭২ বিলিয়ন ডলার। এই ৫৫ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে ১২ বিলিয়ন ডলার এখনো দেশে আসেনি। শুধু মাত্র গার্মেন্টস দিয়ে এই লক্ষ্য অর্জন অনেক কঠিন। যদিও আমরা ইতিমধ্যে আমদানি ৫ বিলিয়নের নিচে নিয়ে এসেছি। এটা অনেকটা স্বস্তি দেবে। কিন্তু যদি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে না পারে, অথবা কোনো নিষেধাজ্ঞা আসে, তাহলে রিজার্ভ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন দুরূহ হয়ে যাবে।
নিরবচ্ছিন্ন তেল, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ এটা আসলে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের দেশের জ্বালানি খাত পুরোপুরি আমদানিনির্ভর। জ্বালানি আমদানিতে বিপিসি ও পেট্রোবাংলার বকেয়া ৯৭ কোটি ডলার। তথ্য মতে পেট্রোবাংলার কাছে এনবিআরের পাওনা ১৩ হাজার কোটি টাকা। পিডিবির কাছে বিভিন্ন সংস্থার পাওনা ২৭ হাজার কোটি টাকা গত বছরের হিসাব অনুযায়ী। এর মধ্যে এখনই বিদ্যুৎ থাকছে না, গত অর্থবছরে গরমের সময় ঢাকার বাইরে বিদ্যুতের অবস্থা বেশ খারাপ ছিল। এবার কী হবে,সময়ই তা বলবে।এছাড়াও খাদ্যনিরাপত্তা আমাদের দেশকে যেকোনো দুর্যোগ থেকে বাঁচিয়ে দেয় কৃষক। কিন্তু ডলারের অভাবে সার আমদানি করা যাচ্ছে না। এ পর্যন্ত সারের ভর্তুকিতে বকেয়া পড়েছে প্রায় সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা। বিদ্যুৎ বা ডিজেলের অভাব হলে সেচ হবে না। তাহলে কী অবস্থা হবে ভাবনার বিষয়।
খাদ্য আমদানিতে আমরা বিশ্বে তৃতীয়। আমদানি কমিয়ে দিলে যেসব খাবার বাইরে থেকে আসে, সেগুলোর কী হবে?
আমাদের কৃষকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারলে এ দেশে কখনো দুর্ভিক্ষ আসবে না।মানুষ এখন কম কিনছে। ফলে সিন্ডিকেটও কিছু দাম কমিয়ে দিয়েছে নির্বাচন পর্যন্ত। এর মানে দেখা যায়, ওপর থেকে চাপ এলে দাম কমানো সম্ভব। এখন দেখতে হবে, এ ব্যাপারে সরকারের সদিচ্ছা আছে কি না।আমদানি করে দাম কমানো কখনো কোনো সমাধান নয়। সরকারের কাছে কি উৎপাদন থেকে ভোক্তা পর্যায়ে জিনিস পৌঁছানোর হিসাব নেই? তাহলে কেন সিন্ডিকেট ভাঙার চেষ্টা করছে না? এখানে কি আমরা অলিগার্কদের কাছে জিম্মি না? এর মধ্যে যদি সরকারি পে স্কেল দেওয়া হয়, জিনিস পত্রের দাম আরও নাগালের বাইরে চলে যাবে। অর্থনীতির নেতিবাচক রেখা একসময় আবার ওপরের দিকে উঠতে শুরু করবে। সেই সুসময়ের জন্য সবাই অপেক্ষা করুন। এবং গণতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যান।
গণতন্ত্রের পূবর্শত সুষ্ঠু নির্বাচন। একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন জাতিকে একটি সুন্দর সংসদ উপহার দিতে পারে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন যদি বিতর্কিত হয়, তাহলে দেশ ভয়াবহ পরিণতির মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা দেশবাসীর। মনে রাখতে হবে, রাজনীতিকদের কোনো অবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্ত বা ভুলের কারণে যদি দেশের গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা বিপন্ন হয়ে পড়ে, নির্বাচন ভণ্ডুল হয়ে যায়, তাহলে ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করবে না। গণতন্ত্র একটি রাষ্ট্রের প্রাণশক্তি ও উন্নয়নের পূর্বশর্ত।আর গণতন্ত্র মানে আত্মমর্যাদা ন্যায়বিচার, সুশাসন, মানবিক উন্নয়ন অর্থাৎ একে অপরের সঙ্গে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতির বন্ধন তৈরি করা। কিন্তু দুঃখ জনক হলেও সত্য, আজও সেসব গণতান্ত্রিক চেতনা পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত হয়নি। গণতন্ত্রের নামে যাদের ন্যূনতম রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, দূরদর্শিতা,দেশপ্রেম ও মাতৃভূমির প্রতি দায়িত্বশীলতার পরিচয় নেই,এমন ধরনের প্রার্থীকেও নির্বাচনে প্রার্থী হতে দেখা যায়।
কিন্ত আমাদের ভাবতে হবে,দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জনগণের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটি নির্বাচন। অতীতের যে কোনো নির্বাচনের চেয়ে এ নির্বাচন অধিক গুরুত্ব বহন করে। তাই দেশ ও জনগণ সরকারের স্বার্থেই দুর্নীতিবাজ, কালো টাকার মালিক অসৎ শ্রেণির লোক ও দলকে বয়কট করার শপথ এখন থেকেই গ্রহণ করতে হবে। তাহলেই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। দুর্নীতির শক্তি দুর্বল হবে এবং মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। এ দায়িত্ব সম্মিলিতভাবে দেশ প্রেমিক সব শ্রেণি ও পেশার মানুষকে পালন করতে এগিয়ে আসতে হবে। তবেই নির্বাচন ও উন্নয়ন একই সঙ্গে জাতির জন্য সফলতা বয়ে আনবে। দেশের মর্যাদার এই লড়াইকে প্রতিষ্ঠা করার জন্যই আমাদের সকল সুশীল শ্রেণী, দেশসেবক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে পরিচালিত হতে হবে- সেটাই এ ক্রান্তিকালে আমাদের সবারই কাম্য। অহিংস নীতিতে বিশ্বাসী, সহনশীলতায় বলীয়ান হয়ে, আন্তরিকতা নিয়ে, হিংসা-বিদ্বেষ মুছে দিয়ে, মনের গ্লানি দূর করে, অমলিন ও উদার পরিবেশ সৃষ্টির জন্য পদক্ষেপ নিলে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেয়া সম্ভব হবে।
বিভিন্ন সমালোচনা-আলোচনা, মন্তব্য-মতামত ও পর্যবেক্ষণ যাই কিছু হয়ে থাক না কেন, সবকিছুর সমাধান হচ্ছে একটি সুষ্ঠু, সুন্দর অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। যার মাধ্যমে দেশ শোষণহীন বৈষম্যমুক্ত, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করবে। কাজেই সংশ্লিষ্ট সকলের মধ্যে শুভ বুদ্ধির অভ্যুদয় ঘটুক-সাধারণ জনগণ আজ সে প্রত্যাশাই করছে।
লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক
raihan567@yahoo.com