বিডিমেট্রোনিউজ, রাজবাড়ী ॥ চেহারা, বেশ ভুষায় বোঝাই যাচ্ছিল তিনি একজন ভিক্ষুক। বয়স তার কমপক্ষে ৬৫ বছর। আচরণ করছেন অনেকটাই পাগলের মত। ঘড়িতে তখন বাজে রাত ১০টা। রাজবাড়ী রেলষ্টেশন এলাকায় ওই ভিক্ষুকের এমন অবস্থা দেখে মায়া হয় এক রিকশা চালকের।
তিনি ওই বৃদ্ধকে তার রিকশায় তুলে নিয়ে আসেন রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে। চিকিৎসকসহ সেখানে থাকা হাসপাতালের অন্যান্য কর্মচারীরা ওই বৃদ্ধের সুস্থ্যতার ব্যবস্থা করেন। এ সময় ওই রিকশা চালকসহ হাসপাতালের কর্মচারীরা বৃদ্ধের সাথে থাকা একটি ব্যাগ সন্দেহ বশত তল্লাশী চালায়। তবে তল্লাশীর শুরুতেই তাদের চোখ ওঠে কপালে। দ্যাখেন, পুরো ব্যাগ ভর্তি টাকা।
রাজবাড়ী হাসপাতালের নিচ তলার মেডিসিন ওয়ার্ডের ৯ নং শয্যার মেঝেতে শুয়ে থাকতে দেখা যায় ওই বৃদ্ধ ভিক্ষুককে। নাম ঠিকানা জানতে চাওয়া হলে তিনি ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকেন।
জানাগেছে, গত শনিবার রাত ১০ টার দিকে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক জন রিকশা চালক এই বৃদ্ধকে রাজবাড়ী হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসে। বৃদ্ধের অবস্থা সে সময় ছিল অনেকটাই নাজুক।
বিপত্তি ঘটে রিকশায় থাকা ওই বৃদ্ধের বড় আকারের ব্যাগ নিয়ে। রিকশা চালক ও হাসপাতালে কর্মচারীরা ওই ব্যাগটি আনতে গিয়ে উৎসুক ভাবে খোলেন সেটি। তবে ব্যাগের মুখ খোলার পর সকলেই হতবাক। পুরো ব্যাগ ভর্তি শুধু টাকা আর টাকা। ওই টাকার মধ্যে রয়েছে, ১০০, ৫০, ২০, ১০, ৫ ও ২ টাকার নোট। তবে টাকা গুলো সে সময় গণনা করা হয়নি।
ওই ভিক্ষুক একটু সুস্থ্য হবার পর শনিবার সকালে তার উপস্থিতিতে হাসপাতালের ৮ জন কর্মচারী দীর্ঘ দেড় ঘন্টা গননা করেন। গণনা শেষে দেখা যায় ১৭,১৬০ টাকা রয়েছে।