তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের সময় পেটের ভেতর পলিথিন মোড়ানো পাঁচটি ছোট প্যাকেট পাওয়া গেছে। পরে প্যাকেটগুলো খুলে ইয়াবা পাওয়া যায়।
শনিবার রাতে উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের ইনানী এলাকায় কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের পাশ থেকে দিলদার মোহাম্মদের লাশ (১৫) উদ্ধার করা হয় বলে জানান উখিয়া থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান।
দিলদার টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ফুলের ডেইল এলাকার ফরিদুল আলমের ছেলে। স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে দিলদারের লাশ উদ্ধার করে রাতেই ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয় বলে ওসি জানান।
সুলতান আহমদ সিরাজী বলেন, দিলদারের পেটের ভেতর আরও পোটলা ছিল। যেগুলোর একটি খুলে গিয়ে বিষক্রিয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্যাকেটগুলোতে কী পরিমাণ ইয়াবা ছিল তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি তিনি।
এদিকে দিলদারকে ‘প্রলোভন’ দেখিয়ে পেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে ‘পাচারের’ চেষ্টা করা হচ্ছিল বলে তার স্বজনদের অভিযোগ। দিলদারের বাবা ফরিদুল বলেন, “হ্নীলার আলী আকবর ডেইল এলাকার গুরা মিয়ার ছেলে নুরুল আলম ও জানে আলম আমার ছেলেকে প্রলোভন দেখিয়ে ইয়াবা গিলিয়ে পেটে করে পাচারে চেষ্টা চালায়।
“শনিবার তাকে কক্সবাজার নিয়ে পাচারকারীরা ইয়াবার কয়েকটি প্যাকেট বের করতে পারলেও সব বের করতে পারেনি।”
দিলদারের পেটে থাকা অবশিষ্ট ইয়াবার ‘বিষক্রিয়ায়’ তার মৃত্যুর পর পাচারকারীরা লাশ ফেলে যায় বলে দাবি করেন তিনি।