চুপি চুপি সংসদে ‍পলাতক এমপি রানা!

বিডিমেট্রোনিউজ খুনের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে পুলিশের খাতায় ‘পলাতক’ ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা সংসদে হাজিরা দিয়ে গেলেও দায়িত্বশীল কেউ তাকে দেখার কথা স্বীকার করেননি। সোমবার অধিবেশন কক্ষের ৪ নম্বর লবিতে রাখা হাজিরা বইয়ে সই করে চলমান অধিবেশনে যোগ না দিয়েই কয়েক মিনিটের মধ্যে লবি ছেড়ে বেরিয়ে যান টাঙ্গাইলের এই সংসদ সদস্য। লবিতে কর্মরত সংসদ সচিবালয়ের একাধিক কর্মচারী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমেদ হত্যামামলায় অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি রানাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি করে আসছে পুলিশ।

টাঙ্গাইল-৩ আসনের সংসদ সদস্য রানাকে গ্রেপ্তারে গত ৬ এপ্রিল টাঙ্গাইলের আদালত পরোয়ানা জারি করে। তিনি ধরা না পড়ার পর ১৬ মে তার মালামাল বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। পালিয়ে থাকা রানা সর্বশেষ গত বছরের ৫ জুলাই সংসদের অধিবেশনে যোগ দিয়েছিলেন। ফলে অনুপস্থিতির কারণে সংসদ সদস্যপদ হারানোর ঝুঁকি তার রয়েছে।

সংবিধান অনুযায়ী, কোনো সাংসদ টানা ৯০ কার্যদিবস অনুপস্থিত থাকলে তার সদস্যপদ বাতিল হয়ে যাবে। সংসদের কার্যপ্রণালীবিধি অনুযায়ী, সংসদ এলাকায় কোনো সাংসদকে গ্রেপ্তার করতে হলে স্পিকারের অনুমতি নিতে হবে।

সংসদের প্রধান ফটকে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য ও লবির গার্ডরা জানান, রানা সোমবার বেলা ১১টার পর নিজস্ব গাড়ি নিয়ে সংসদে ঢোকেন।

তবে সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসায় সংসদের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা (সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস) কমোডর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম ও ডেপুটি সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস (অপারেশন) সেলিম খান উভয় বলেছেন, তারা কিছু জানেন না।

সোমবার সংসদ অধিবেশনে কিছু সময় সভাপতিত্ব করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। এরপর ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া সভাপতিত্বে আসেন। রানার বিষয়ে ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়াও সাংবাদিকদের কাছে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

সংসদের প্রধান হুইপ আ স ম ফিরোজ সাংবাদিকদের বলেন, “আমানুর রহমান সংসদে এসে হাজিরা দেওয়ার বিষয়টি আজই (মঙ্গলবার) শুনলাম। তবে তিনি অধিবেশনে যোগ দেননি। দিলে আমার চোখে পড়ত।”

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts