আজ বিশ্ব আলঝইেমারস দিবস

ডিমেনশিয়া জানুন, আলঝেইমারকে জানুন

জ ই বুলবুল : আজ বিশ্ব আলঝেইমার দিবস । এবারের বিশ্ব আলঝেইমার দিবসের প্রতিপাদ্য ‘ডিমেনশিয়া জানুন, আলঝেইমারকে জানুন’। একই সময়ে, সবচেয়ে বড় বিষয় হল সারা বিশ্বে ৫৫ মিলিয়ন মানুষ এই রোগে ভুগছে। বাংলাদেশসহ বিশ্ব জুড়েই আলঝেইমারস রোগের ভয়াবহতা দিনে দিনে বাড়ছে। আলঝেইমারস মস্তিষ্কের এক ধরনের রোগ যার ফলে কিছু মনে রাখতে পারেন না রোগী। এমনকি এ রোগটির কারণে একটু আগেই করা কাজ ভুলে যায় অনেকে।

দিন দিন এই রোগ গোটা বিশ্ব ভয়াবহ আকারে বেড়েই চলেছে। তাই যাতে সাধারণ মানুষ এই রোগটা নিয়ে সচেতন হয়, সতর্ক হয় তার জন্যই প্রতিবছর  ২১ সেপ্টেম্বর বিশ্বজুড়ে পালিত হয় এই দিনটি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ৬৫ বছরের বেশি বয়সী শূন্য দশমিক ১ শতাংশ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। ওয়ার্ল্ড আলঝেইমারস অ্যাসোসিয়েশন বলছে, বিশ্বে ৫০ মিলিয়নের বেশি মানুষ আলঝেইমারস রোগে আক্রান্ত। ২০৫০ সাল নাগাদ এটি ১৫ কোটি ছাড়াতে পারে!। এ ছাড়া প্রতি সেকেন্ডে নতুন করে ৬৮ জন এবং ৬৫ বছরের বেশি বয়সী প্রতি নয়জনে একজন করে এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

১৯৯৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর ইংল্যান্ডের এডিনবরা একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হয়, ২১ সেপ্টেম্বর হবে বিশ্ব আলঝেইমার দিবস। সেই থেকে প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলছে এই বিশেষ দিবস পালন। দিবসটি উপলক্ষে আজ শনিবার  জাতীয় নিউরোসায়েন্স ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল সহ বিভিন্ন হাসপাতালে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে 

জাতীয় নিউরোসায়েন্স ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের প্রজেক্ট ডাইরেক্টর ও অধ্যাপক (ক্লিনিক্যাল নিউরোলজি)র অধ্যাপক ডা. এম এস জহিরুল হক চৌধুরী বলেন, আমাদের জীবন যাত্রার পদ্ধতি এবং মানুষের গড় আয়ুষ্কাল বৃদ্ধির সাথে সাথে ডিমেনশিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে।ডিমেনশিয়া রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করে দীর্ঘ মেয়াদী চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না।তবে কখনো কোনো রোগীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সঠিক রোগ নির্ণয়ের জন্য হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়।এক্ষেত্রে একজন চিকিৎসকের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে রোগীর ডিমেনশিয়ার মূল কারণ সনাক্তকরে তার চিকিৎসা দেওয়া।যদি রোগীর ইরিভারসিভল ডিমেনশিয়া হয়ে থাকে অর্থাৎ যেটা চিকিৎসার মাধ্যমে সম্পূর্ণআরোগ্য সম্ভব হয়না তখন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে রোগীর নিকট আত্মীয় বা সেবা প্রদানকারীকে বিশদভাবে রোগীর রোগের বর্ণনা দিতে হবে এবং ভবিষ্যতে এই রোগের প্রকৃতি, সেবার ধরণ ও চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে ধৈর্য্য ধরে চিকিৎসা দিতে হবে।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts