জুলাই আন্দোলনে যারা চোখে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছন তাদের চিকিৎসার জন্য বেশ কয়েকটি বিদেশি বিশেষজ্ঞ দল বাংলাদেশে আসছে।
বুধবার (২ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত ‘এ কল টু অ্যাকশন: অ্যাড্রেসিং দ্য ক্রাইসিস অব ইনজুরিজ ডিউরিং দ্য জুলাই মুভমেন্ট’ শীর্ষক জাতীয় গোলটেবিল আলোচনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নাজমুল হোসেন এ তথ্য জানান।
সাজিদা ফাউন্ডেশন এবং অরবিস ইন্টারন্যাশনাল আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, জাতীয় স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং জেলা হাসপাতালগুলোর মাধ্যমে আহতদেরকে সব ধরনের চিকিৎসাসেবা দিতে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছে।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে চোখে আঘাতপ্রাপ্তদের সহায়তা করার জন্য একাধিক বিদেশি বিশেষজ্ঞ দল [বাংলাদেশ] সফর করবে। একটি চীনা মেডিকেল টিম ইতিমধ্যে সাত দিন ধরে বিভিন্ন হাসপাতালে কাজ করেছে এবং আহতদের প্রাথমিক ব্যবস্থাপনার জন্য আমাদের চিকিৎকদের দক্ষতার প্রশংসা করেছে।
যাদের কর্নিয়া প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন তাদের জন্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে কর্নিয়া আমদানি নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করবে এবং স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় আহতদের চিকিৎসা পুনর্বাসনের দায়িত্ব নেবে – একথা উল্লেখ করে অধ্যাপক নাজমুল বলেন, সাজেদা ফাউন্ডেশন এবং অরবিস এর মতো সংস্থার সহায়তা এক্ষেত্রে অত্যন্ত প্রয়োজন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল (এনআইওএইচ), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ), সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-ঢাকা, ইস্পাহানি ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল, অফথালমলোজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদশ, চক্ষু খাতে কর্মরত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এনজিও, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন এবং বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির প্রতিনিধি এবং ছাত্র সমন্বয়কারীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সাজিদা ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদা ফিজ্জা কবীরের সূচনা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে আলোচনা শুরু হয়। তিনি কার্যকর চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা এবং যথাযথ পুনর্বাসন পরিকল্পনার সফল বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে একসঙ্গে কাজ করার উপর অগ্রাধিকার দেন।
তিনি বলেন, আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে আহতদের সেবার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সরকারি হাসপাতালগুলোতে আহতদের সব চিকিৎসা খরচ ও প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।