সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: অবিরাম বর্ষায় সৃষ্ট বন্যা ও জলাবদ্ধতা অসহনীয় জনদুর্ভোগ ও মানবিক বিপর্যয়ে পড়েছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মানুষ।
সবই পানিতে একাকার। ফসলের মাঠ, মাছের ঘের, খাল-বিল, লোকালয়। শোয়ার ঘর, রান্নাঘর ও গোয়ালঘরে পানি।
সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামও বন্যা কবলিত। এই এলাকায় লিলি খাতুন ও আশারাফ নামে দুইজন পানিতে ডুবেও মারা গেছে।
গ্রামের দুইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অসংখ্য পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। তবে জীবন বাঁচানোর মতো খাওয়া-দাওয়াটুকুও তাদের নেই। সরকারি ও বাইরের ত্রাণ এখনও পৌঁছায়নি, তাছাড়া গ্রামের প্রায় সবাই ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় সহযোগিতা করার কেউ নেই। এমন অবস্থায় বন্যার্তদের দুর্দশা লাঘবে এগিয়ে এসেছেন এই গ্রামেরই ছেলে মোঃ খায়রুল ইসলাম খাঁন। তিনি প্রতিনিয়ত ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছেন।
খায়রুল অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক মীরজাহান আলী খাঁনের ছেলে ও একটি ব্যাংকে ছোট পদে চাকুরি করে। মাসের খরচ বাঁচিয়ে ও নিজের বিভিন্ন উৎস থেকে টাকা যোগাড় করে প্রায় প্রতিদিনই ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছেন।
স্থানীয় ইউপি মেম্বর শামসুল হুদা পলটু জানান, খায়রুল প্রায় প্রতিদিন ৭/৮ হাজার টাকার ত্রাণ নিয়ে আসছে এবং গ্রামবাসী সবাই খুশী। বন্যার্তদের দুর্দশা লাঘবে খায়রুলের মত আরও কিছু যুবক ও লোককে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন তিনি।