জাবিতে ছাত্রী অপহরণের চেষ্টা, গণধোলাই

জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) অ্যাকিউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের এক ছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে একই বিভাগের সিনিয়র এক ছাত্রের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আলবেরুনী হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী এ ঘটনার বিচার দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে। অপহরণ করতে গিয়ে আটক দুই জন হলেন- জাহিদুল ইসলাম সজল ও তার সহযোগী । এদের মধ্যে জাহিদুল ইসলাম সজল বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিষ্টেম এর ৪৩ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক ছাত্র।

জানা যায়, বিভাগীয় পরীক্ষায় পরপর দুইবার অকৃতকার্য হওয়ায় অধ্যাদেশ অনুযায়ী জাহিদুলের ছাত্রত্ব বাতিল হয়ে গেছে। তবে উপাচার্য বরাবর তিনি ছাত্রত্ব বহাল রাখার আবেদন করেছেন। এখনো উপাচার্যের পক্ষ থেকে বিভাগকে কোন নির্দেশনা দেয়া হয়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ওই ছাত্রী তার পরিবারের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী ইসলামনগরে একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বাসা থেকে রিকশা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে যাচ্ছিলেন।

আলবেরুনী হলের কাছাকাছি এলে ওই ছাত্রীকে রিকশা থেকে নামতে বাধ্য করে জাহিদুল। এরপর জাহিদুলসহ তাঁর সঙ্গে তিন জন যুবক ছাত্রীকে জোর করে মাইক্রোবাসে তোলার চেষ্টা করে। এসময় ছাত্রী চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিার্থীরা এসে তাকে উদ্ধার করে। শিক্ষার্থীরা জাহিদুলকে গণ পিটুনি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের হাতে তুলে দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সিকদার মো. জুলকারনাইন বলেন, ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিযোগপত্র পেয়েছি। অভিযুক্তর সাথে থাকা গাড়ির চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

অভিযুক্ত জাহিদুল সুস্থ্য হলে পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই ওই ছাত্রীকে জাহিদুল উত্যক্ত করে আসছিলো। জাহিদুলকে বিয়ে না করলে তাকে অপহরণ করার হুমকিও দিয়েছিলো জাহিদুল। এর মধ্যে অভিভাবকদের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মীমাংসা হলেও গতকালও ছাত্রীকে অপহরনের চেষ্টা করে সে।

Print Friendly

Related Posts