সু চি-র সর্বোচ্চ মানবাধিকার পুরস্কার কেড়ে নিল অ্যামনেস্টি

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ আজ আমরা অত্যন্ত হতাশ যে আপনি আর আশা, সাহস এবং মানবাধিকার রক্ষার লড়াইয়ের প্রতীক আর নেই আপনি। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল-এর দেওয়া ‘অ্যাম্বাসাডর অব কনসিয়েন্স’ বা ‘মানবাধিকারের দূত’ পুরস্কারের সঙ্গে আপনি আর সুবিচার করতে পারছেন না। তাই অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে এই পুরস্কার আপনার থেকে তুলে নেওয়া হল। বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন সংগঠনের প্রধান কুমি নাইডু।

লন্ডনের অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সংগঠনের তরফে সোমবারই এই ঘোষণা করা হয়েছে।

নিজে গৃহবন্দি থেকেও মানুষের মুক্তির কথা বলেছেন। লড়াই করেছেন স্বাধীনতার জন্য। প্রায় দেড় দশকের সংগ্রাম জিতে যখন ক্ষমতায় বসলেন, তখন সেই লড়াইয়ের মুখই গেল পাল্টে। মায়ানবারবাসীর কাছে শান্তি, গনতন্ত্র, মানবাধিকার, স্বাধীনতার দূত হয়ে উঠেছিলেন যে আন সাং সু চি, তার সেই সব গুণই এখন প্রশ্নের মুখে। হাজার হাজার রোহিঙ্গা নিধন-ধর্ষণ, দেশছাড়া করার বিরুদ্ধে মৌন তিনি। দেশের অভ্যন্তরে দুর্নীতি-অশান্তিতেও আর সরব নন। সেনার অত্যাচারে নেই প্রতিবাদ-প্রতিরোধ।

তাই এ বার তাদেরই দেওয়া সর্বোচ্চ মানবাধিকারের পুরস্কার ‘অ্যাম্বাসাডর অব কনসিয়েন্স’ কেড়ে নিল অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে দীর্ঘদিন ধরেই রোহিঙ্গারা অত্যাচারিত। সু চি-র দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমক্রেসি (এনএলডি)মায়ানমারে ক্ষমতায় আসে ২০১৫ সালে। কিন্তু তারপরও পরিস্থিতির খুব একটা বদল হয়নি। বরং বেড়েছে। একটি সমীক্ষা দাবি করেছে, গত তিন বছরে মায়ানমার থেকে ৭২ হাজার রোহিঙ্গাকে দেশছাড়া করেছে সে দেশের সেনা। আরও বহু মানুষকে খুন ধর্ষণ করা হয়েছে। কিন্তু সু চি কখনও তা নিয়ে প্রতিবাদ করেননি। তাঁর দলের সরকারের অধিকাংশ নেতা-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ। তা নিয়েও উচ্চবাচ্য নেই।

এই সব কারণে ইতিমধ্যেই দেশ-বিদেশের একাধিক পুরস্কার-সম্মান খুইয়েছেন সু চি। গত মাসেও রোহিঙ্গা ইস্যুতে তার সাম্মানিক নাগরিকত্ব খারিজ করেছে কানাডা। এবার সর্বোচ্চ মানবাধিকারের পুরস্কারও হাতছাড়া হল সু-চি-র।

 

Print Friendly

Related Posts