দায় নিজের কাঁধে নিলেন ওয়ার্নারের স্ত্রী

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ বল-বিকৃতির দায় নিজের কাঁধে নিলেন ডেভিড ওয়ার্নারের স্ত্রী ক্যান্ডিস ওয়ার্নার। তিনি সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, ‘আমার মনে হচ্ছে সব দোষ আমার। এই ঘটনা যেন আমাকে মেরে ফেলছে।’

বল-বিকৃতির ঘটনার আগেই দক্ষিণ আফ্রিকা-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ডারবানে প্রথম টেস্টে চা-পানের বিরতির সময় দু’দল যখন ড্রেসিংরুমে ফিরছিল, তখন দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটকিপার কুইন্টন ডি ককের দিকে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে তেড়ে যান ওয়ার্নার। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, দু’দলের কয়েকজন ক্রিকেটার তাঁকে ধরে আছেন। এরপর দ্বিতীয় টেস্ট চলাকালীন ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকার দুই আধিকারিককে নিউজিল্যান্ডের রাগবি খেলোয়াড় সনি বিল উইলিয়ামসের মুখোশ পরা তিন দর্শকের সঙ্গে ছবি তুলতে দেখা যায়। ২০০৭ সালে ওয়ার্নারের সঙ্গে পরিচয় হওয়ার আগে এই রাগবি খেলোয়াড়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ক্যান্ডিসের। সেই কারণে তাঁকে বিব্রত করতেই ওই মুখোশ পরেন দক্ষিণ আফ্রিকার দর্শকরা। এরপর তৃতীয় টেস্টে বল-বিকৃতির ঘটনায় নাম জড়ায় ওয়ার্নারের। আইসিসি তাঁকে কোনও সাজা না দিলেও, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এক বছরের জন্য নির্বাসিত করেছে।

ওয়ার্নারের পাশে দাঁড়িয়ে ক্যান্ডিস বলেছেন, ‘আমি কোনও অজুহাত দিচ্ছি না, কিন্তু ডেভ আমাকে এবং মেয়েদের যতটা পারত আগলে রাখত। আমরা যখন কেপটাউন ও পোর্ট এলিজাবেথে ছিলাম, খেলার পর হোটেলের ঘরে ফিরে আমাকে কাঁদতে দেখে ওর হৃদয় ভেঙে যেত। মেয়েরা শুধু আমার দিকে তাকিয়ে থাকত। আমি নিজেকে শক্ত রাখার চেষ্টা করতাম। কিন্তু দর্শকদের ওই মুখোশ পরতে দেখা, আমাকে উদ্দেশ্য করে গান বাঁধা, ঠাট্টা করা, তাকিয়ে থাকা, হাসা, বিভিন্ন ইঙ্গিত করাও সহ্য করতে হয়েছে।’

Print Friendly

Related Posts