দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর দুমকিতে লেবুখালী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫৩ তম বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে এক শিক্ষকের আপত্তিকর উপস্থাপনায় ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
জানা যায়, শুক্রবার রাতে অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করতে গিয়ে বিদ্যালয়টির সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ কামরুজ্জামান আশরাফ ও সহকারী শিক্ষক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন একাধিকবার বলেন, আপনাদের ও অতিথিদের “মনোরঞ্জনে” নৃত্য নিয়ে আসছেন বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা।
কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নৃতানুষ্ঠান সঞ্চালনায় “মনোরঞ্জন” শব্দটি ব্যবহার করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন একাধিক অভিভাবক ও দর্শক। তাদের দাবি কোমলমতি শিক্ষার্থীরা কখনোই মনোরঞ্জনের বিষয় হতে পারে না। এদিকে অনুষ্ঠানে আগত একাধিক অতিথিও বিষয়টি নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন। এধরনের অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় শব্দ প্রয়োগের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষকে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তারা।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় হাসনাত টিটু বলেন, বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক যে ধরনের বাক্য উচ্চারণ করেছেন তা অত্যন্ত আপত্তিকর। এতে আমরা হতাশ।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, কথা বলার ক্ষেত্রে এ ধরনের ভুল হতে পারে। তবে আমি বিষয়টি খেয়াল করিনি।
বিদ্যালয়টির পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রায়হান আহমেদ বলেন, “মনোরঞ্জন” শব্দটি ব্যবহার করা হলে সেটি নিশ্চয়ই আপত্তিকর। বিষয়টি সম্পর্কে প্রধান শিক্ষককে জিজ্ঞাসা করা হবে।
#