২৫ বছর বয়সেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছিলেন সুষমা

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ ভারতীয় রাজনীতিতে শোকের ছায়া৷ মঙ্গলবার রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ৷ গত কয়েক মাস ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি৷ যার ফলে লোকসভা নির্বাচনে লড়তেও চাননি তিনি৷ গত মাসে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কার্য্যানুষ্ঠানে তাঁকে দেখা যায়৷ মঙ্গলবার দিল্লির এইমসে প্রয়াত হন তিনি৷

ভারতের এই জননেত্রীর মুকুটে রয়েছে বহু সাফল্যে পালক, যা বারবার অগণিত গুণমুগ্ধদের আকৃষ্ট করেছে তাঁর দিকে৷ ১৯৭৭ সালে মাত্র ২৫-এ সবথেকে কম বয়সে তিনি ক্যাবিনেট মন্ত্রী হন৷ ১৯৭৭ থেকে ১৯৭৯ পর্যন্ত সমাজ কল্যাণ, শ্রমের মতো বহু মন্ত্রকে কাজ করেছেন তিনি৷ তিনি উত্তর ভারতের হরিয়ানা রাজ্যর মন্ত্রীসভার সর্বকনিষ্ঠ মন্ত্রী হয়েছিলেন। ২৭ বছর বয়সে ১৯৭৯ সালে তিনি হরিয়ানাতে জনতা পার্টির অন্যতম প্রধান মুখ হয়ে ওঠেন৷

ইন্দিরা গান্ধীর পরে তিনিই দ্বিতীয় মহিলা যিনি বিদেশমন্ত্রীর পদে এসেছিলেন৷ গত চার দশকে ১১ নির্বাচনে তিনি লড়েন, যার মধ্যে তিনবার বিধানসভা নির্বাচন লড়েন এবং জেতেন৷ সেই সঙ্গে সাতবার সাংসদও হন তিনি৷ ১৩ অক্টোবর ১৯৯৮ সাল থেকে ৩ ডিসেম্বর ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত তিনি দিল্লীর ৫ম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

তাঁকে যখনই প্রয়োজন হয়েছে, তখনই তিনি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন৷ অগণিত দেশবাসীর কাছে তিনি তাই কাছের নেত্রীই শুধু নন, বন্ধুও ছিলেন৷ তাঁর জনপ্রিয়তার ব্যপ্তি তাই পরিমাপের উর্দ্ধে৷

সুষমার সঙ্গে মধুর সম্পর্কের কথা নিজেই বলেছেন মমতা। বিজেপির লালকৃষ্ণ আদবানি, অটল বিহারি বাজপেয়ী এবং সুষমা স্বরাজের মতো নেতৃত্বের প্রশংসা মমতা নিজে অনেকবার করেছেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে মমতার সম্পর্কের সেতুও ছিলেন সুষমা।

২০১৪ সাল। লোকসভা নির্বাচনের পর নতুন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন নরেন্দ্র। কিন্তু, মমতার সঙ্গে রাজনৈতিক তরজা চলছে উচ্চগ্রামে। সেই সময়, প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে বার্তালাপ প্রায় বন্ধ। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার ভারত সফরে মোদী-মমতার কথা হয়। মনে করা হয়, মাঝে ছিলেন সুষমা। সিপিএম থেকে তৃনমূল সকলের ভালোবাসার জায়গায় থেকেছেন সুষমা।

Print Friendly

Related Posts